পাহাড়ের রসালো লিচুতে কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা

সাইফুল উদ্দীন সাইফুল উদ্দীন রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২৯ মে ২০২৩

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে প্রতিবছর গ্রীষ্ম ঋতুতে মৌসুমী ফলের ভালো ফলন হয়। ঠিক তেমনি এবছরও পার্বত্য এ জেলায় মৌসুমী ফল লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। জেলার নানিয়ারচর, বরকল, বিলাইছড়ি, কাপ্তাইসহ বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হয় মৌসুমী এ ফল। রাঙ্গামাটির লিচু রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে জেলাশহরসহ চট্টগ্রাম, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলায়। লিচুর ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরাও।

লিচুচাষি রতন কুমার চাকমা বলেন, আমার দুই একর পাহাড় জুড়ে বিভিন্ন ফলের বাগান আছে। যেখানে বেশিরভাগ লিচু গাছ। আমি শুরু থেকে ভালোভাবে পরিচর্যা করায় আমার বাগানে বেশ ভালো ফলন হয়েছে এবার। আমি বাজারে গিয়ে লিচু বিক্রি করি না। ব্যাপারীরা এসে বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যান। এবার অন্য বছরের তুলনায় ভালো দামও পাচ্ছি।

আরেক চাষি হরিমোহন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমার বাগানে এবছর প্রতিটি গাছেই লিচুর ভালো ফলন এসেছে। কোনো পোকার আক্রমণ না থাকায় এবং সবসময় কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করায় অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লিচু তেমন নষ্ট হয়নি। কিছু লিচু বিক্রি করেছি যাতে আমি প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো পেয়েছি। আরও বেশ কিছু গাছে লিচু আছে, আশা করি ভালোই দাম পাবো।

মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, প্রতিবছর রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় লিচু, আম এবং কাঁঠাল পাঠাই। এখানকার লিচু বেশ সুস্বাদু, মিষ্টি ও রসালো। তাই সারা দেশে এর বেশ চাহিদা রয়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাঙ্গামাটিতে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪০০ হেক্টর জমিতে চায়না-৩, ৪৫০ হেক্টর জমিতে চায়না-২ ও বাকি ৯৫০ হেক্টর জমিতে দেশি লিচুর চাষ হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে খরা গেলেও কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এই এলাকার লিচু রসালো ও বিচি ছোট হওয়ায় এর চাহিদা দেশজুড়ে।

এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।