বরিশাল সিটি নির্বাচন
শিক্ষায় এগিয়ে তাপস, পিছিয়ে খোকন
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতায় পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।
সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য।
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর হলফনামা প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত হলফনামা প্রকাশ করা হবে না।
এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বরিশালে ছয় মেয়র প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই পীর) সমর্থিত সৈয়দ মুফতি ফয়জুল করিম, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, জাকের পার্টির সমর্থিত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, কাশিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী হোসেন।
এদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি বাংলাদেশ থেকে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএসসি পাসের পর উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য জাপানে গিয়ে কম্পিউটার সিস্টেম অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।
অন্যদিকে তাপসের পরই আছেন সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। তিনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশ্যাল সাইন্সে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম একজন দাওরায়ে হাদিস ও আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল পাস। এছাড়া কোরআন ও হাদিস নিয়ে তিনি রিসার্চ করেন বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত স্বশিক্ষিত বলে হলফনামা জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। খোকনের নির্বাচনী মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফরহাদ বিন জাকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরেক মেয়র প্রার্থী জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু এইচএসসি পাস ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আলী হোসেন স্বশিক্ষিত বলে তারা জানিয়েছেন।
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩০ ওয়ার্ডে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৭৬ হাজার দুই শত ৯৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন ও পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
তফসিল অনুযায়ী ২৫ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শাওন খান/এসজে/এমএস