ঘূর্ণিঝড় মোখা

হাতিয়ায় বাড়ছে পানি, উপকূলে সতর্কতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৪ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলছিরা ঘাটে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তাল সাগরের বড় বড় ঢেউ উপকূলে আঁছড়ে পড়ছে। মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

রোববার (১৪ মে) ভোর থেকে হাতিয়াসহ উপকূলের উপজেলা সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ক্ষণে ক্ষণে মাইকিং করছে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু জাগো নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার কিছুটা প্রভাব নলচিরা ঘাটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে নোয়াখালীকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় ৮ থেকে ১২ ফুট বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এছাড়া উপকূলের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। এতে সতর্কতা জারির পরও মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ তেমন দেখা যাচ্ছে না। রাতে স্বল্পসংখ্যক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও সকাল থেকে তারাও বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও মাইকিং করা হচ্ছে।

হাতিয়ায় বাড়ছে পানি, উপকূলে সতর্কতা

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বিজয়া সেন বলেন, মাইকিংয়ের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় কালীন এবং পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের সেবার জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা তিন লাখ তিন হাজার ৬০০ জন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এএইচ/জেএমআই

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।