মোখার প্রভাব নেই বরগুনায়, সাইক্লোন শেল্টারে ঝুলছে তালা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১৪ মে ২০২৩
তালাবদ্ধ সাইক্লোন শেল্টার

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব না থাকায় বরগুনার সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে কেউ যাননি। ফলে বেশিরভাগ আশ্রয়কেন্দ্র তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যেসব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে সেখানেও নেই কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখার বিষয় জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়প্রার্থীর ধারণক্ষমতা দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন। যদিও জেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস, সে তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র পর্যাপ্ত নয়।

রোববার (১৪ মে) সকালে জেলার একাধিক সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে দেখা যায়, তালাবদ্ধ সাইক্লোন শেল্টারের গেট।

বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন শেল্টারের মূল ফটকে এখনো তালা ঝুলছে। একই অবস্থা সোনাখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ইটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর কলনি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। অন্যদিকে যেসব সাইক্লোন শেল্টার খোলা আছে সেখানেও নেই কোনো আশ্রয়প্রার্থী।

bar-(2).jpg

মধ্য বুড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টারের দায়িত্বে থাকা হারুন আর রশিদ বলেন, শনিবার বিকেল থেকে সাইক্লোন শেল্টার খুলে বসে আছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয় প্রার্থী আসেননি।

বুড়িরচর ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিপিপির সদস্য মো. ফেরদৌস বলেন, আমরা জনসাধারণকে মাইকিং করে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে বলেছি। কিন্তু তারা কেউ সাইক্লোন শেল্টারে যাচ্ছেন না। আমাদের ধারণা বৃষ্টি অথবা ঝড় শুরু হলে মানুষজন সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়া শুরু করবে।

বরগুনা বরিয়াল পাড়ার বাসিন্দ শহীদ মিয়া বলেন, এখনো কোনো প্রকার ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়নি। তাই আমরা সাইক্লোন শেল্টারে যাইনি। ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে সাইক্লোন শেল্টারে যাবো।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হওয়ার পর থেকেই জেলার ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখবো।

এসজে/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।