সেন্টমার্টিনে সাইক্লোন শেল্টারে ছুটছেন মানুষ
ঘূর্ণিঝড় মোখায় বৈরী পরিস্থিতির আশঙ্কায় সাইক্লোন শেল্টারে ছুটছেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা। শনিবার (১৩ মে) বিকেল থেকে দলে দলে মানুষ দ্বীপের উঁচু ভবন, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে যাচ্ছেন।
সেন্টমাটিনের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিকেলের সাগরের পানি বেড়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ গুমোট হয়ে আসছে। তাই আমরা নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছি। যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না ততক্ষণ পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবো।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, দ্বীপে আগের চেয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়ছে। রাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই আমরা দ্বীপবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে প্রচারণা চালিয়েছি। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া শুরু করেছে। আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের জন্য আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে জন্য সাইক্লোন শেল্টারে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা এড়িয়ে মানুষকে নিরাপদে রাখতে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য ক্ষতির তালিকায় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া। কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত সেন্টমাটিনে কিংবা জেলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যা হতে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের আগ-মুহূর্তের পরিস্থিতি মতো পরিবেশ হওয়ায় দ্বীপে সাগরের তীরের এলাকার মানুষগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জিকেএস