মোখার প্রভাবে কুয়াকাটায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ১৩ মে ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুয়াকাটায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টি থামলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও সমুদ্রের পরিস্থিতি থমথমে।
পটুয়াখালীতে বর্তমানে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত চলছে। বইছে মাঝারি বাতাস। সৈকতে ঢেউ বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবলতা ও সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ১৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৯ টি মুজিবকেল্লা পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জাগো নিউজকে বলেন, মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে কলাপাড়া সহ উপকূলীয় আকাশ শনিবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন হতে থাকে। এ অবস্থায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, সমুদ্র ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও এখন নেই। পর্যটকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে সৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের নিরাপদে চলাচলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে দিকে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
শনিবার রাত সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এরই মধ্যে আমরা প্রতিটি ইউনিয়নকে নিরাপদ রাখতে চেয়ারম্যান এবং সব স্বেচ্ছাসেবক লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯টি মুজিব কেল্লা এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস