ঘূর্ণিঝড় মোখা

ফেনী উপকূলবাসীর জন্য ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ১৩ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে ৪৩ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

এছাড়া কৃষি, প্রাণিসম্পদসহ স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।

তিনি বলেন, উপকূলীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এরই মধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

সোনাগাজী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপকূলীয় এলাকায় ভেড়া আছে ৪ হাজার ৮৬১টি, ছাগল ২ হাজার ১৩০টি, গরু ৬ হাজার ৩১০টি, মহিষ ২ হাজার ৫৭২টি, হাঁস ২৩ হাজারটি এবং মুরগী আছে ১ লাখ ৩০ হাজার। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই উন্মুক্ত চর থেকে প্রাণীগুলো খামারির মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

jagonews24

উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র জানায়, তালিকাভুক্ত আড়াইশো জেলে আছে। ছোটবড় শতাধিক মাছ ধরার নৌকা আছে। তাদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগে ক্ষতি মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে। উপকূলবাসীর যেটাই প্রয়োজন আমাদের কাছে তা যথেষ্ট রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নেবু লাল দত্ত বলেন, খামারিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা হলেই চরাঞ্চলে আমাদের কর্মকর্তা পাঠিয়ে খামারিদের প্রাণিগুলো আশ্রয়ণকেন্দ্রে আনতে বলেছি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।