ঘূর্ণিঝড় মোখা

এখনো সাগরে অনেক জেলে, ঘাটে ফিরতে কোস্টগার্ডের মাইকিং

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১২ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর এখন বেশ উত্তাল। এ অবস্থায় এরই মধ্যে বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার তীরে ফিরেছে। তবে এখনো অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকার করতে ট্রলারে আছেন। এসব জেলেকে ঘাটে ফিরতে মাইকিং করছেন পাথরঘাটা স্টেশনের কোস্টগার্ড সদস্যরা।

শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, মোখার প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল হওয়ার পরও এখনো কিছু মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে ফিরে আসেনি। সেগুলোকে ঘাটে ফিরিয়ে আনতে নদীতে ট্রলার নিয়ে মাইকিং শুরু করেছে কোস্টগার্ড। এছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে।

সাগর থেকে তীরে ফিরে আসা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার জেলে মো. নান্টু জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে আমরা ফিরে এসেছি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার সাগরে যাবো।

একই এলাকার আরেক জেলে মাসুদ মাঝি বলেন, অনেক ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছে। তবে এখনো কিছু ট্রলার ফেরেনি, তারা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করছে।

মোস্তফা সিকদার নামের এক জেলে এবং ট্রলার মালিক জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ের খবর পেয়ে নিরপদে ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। তবে ২ লাখ টাকা খরচ করে সাগর গিয়ে গিয়ে এত দ্রুত ঘাটে ফিরে এসে মাত্র ৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। ঝড়ের আগেই আমাদের অনেক লোকসান হলো।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড কন্টিজেন কমান্ডার মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মোখা মোকাবিলায় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাগরে টহলের মাধ্যমে মাইকিং করে ট্রলারসহ জেলেদের ঘাটে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এখনো যারা গভীর সমুদ্রে আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনো অনেক জেলে মাছ শিকার করছেন। তবে ঝড়ের খবরে এরই মধ্যে অনেক জেলে তীরে ফিরে এসেছেন। এখনো যারা ফেরেননি তারা শিগগির ঘাটে ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মো. আব্দুল আলীম/কেএসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।