সেন্টমার্টিনে ‘মোখা’র প্রভাব নেই, তবুও প্রস্তুতি সম্পন্ন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১২ মে ২০২৩

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য ক্ষতির তালিকায় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া। কিন্তু সেন্টমাটিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব এখনো দেখা যায়নি।

তবে, সেন্টমার্টিনে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বেড়াতে ও ব্যবসায়ী কাজে যাওয়া কিছুসংখ্যক মানুষ ট্রলারযোগে টেকনাফ ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সে পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তবে দ্বীপবাসীকে সতর্ক থাকতে প্রত্যেক গ্রামে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্রসহ সুউচ্চ হোটেলগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি তৈরি রাখা হয়েছে দ্বীপের সিপিপির ১৩শ স্বেচ্ছাসেবী।’

চেয়ারম্যান আরও জানান, শুক্রবার (১২ মে) থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট নৌ পরিবহন সংগঠনের লোকদের বলা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘দ্বীপের মানুষ অতীতেও বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করে এসেছেন। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুত আছি। তবে দ্বীপের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবির সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরাও সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।