৩০ বছরের ঘাটতি মেটাবে হিলির লোহার খনি
দিনাজপুরের হিলিতে পাঁচ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের লোহার খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন লোহা মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা দিয়ে দেশের ৩০ বছরের লোহার ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের মনসাপুর গ্রামে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির তত্ত্বাবধানে লোহার খনির সম্ভাবতা যাচাইয়ে নতুন করে ছয়টি কূপ খননকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, পাঁচ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ছয়টি কূপ খনন করে উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। বিশ্বের কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
এসময় দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিক, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন, আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ২০১৩ সালে উপজেলার মুর্শিদপুর এলাকায় প্রথম কূপ খনন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইসবপুর গ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ে কূপ খনন করে সেখানে ভূগর্ভের ১ হাজার ৭৫০ ফুট নিচে ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার স্তর পাওয়া যায়। এরপর উপজেলার ভাটারা গ্রামে তৃতীয় কূপ খনন করা হয়।
মাহাবুর রহমান/এসআর/এএসএম