গুরুদাসপুরে শতকোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা
উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে জমে উঠেছে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ লিচুর মোকাম নাটোরের গুরুদাসপুরের বেড়গঙ্গারামপুর কানুমোল্লার বটতলা। লিচুর আড়তগুলোতে টসটসে লিচু সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিচুর আড়তের উদ্বোধন করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ লাখ ৬৯০ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এলাকায় প্রায় ৪১০ হেক্টর জমিতে মোজাফ্ফর জাতের আগাম লিচুর আবাদ হয়েছে। বৈশাখের শেষ সপ্তাহ থেকে এ লিচু সংগ্রহ শুরু হয়। গাছ থেকে সংগ্রহ করা লিচু দ্রুত মোকামে পাঠাতে প্রস্তত আড়তদার ব্যবসায়ীরা। ২০০০ সালে গড়ে ওঠা এ লিচুর মোকামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীদের থাকা খাওয়া ও সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও শ্রাবণী রায়।
উদ্বোধনী সভায় লিচু আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোকামে শতাধিক আড়তে সারাদিন লিচু পাইকারি বেচাকেনা হয়। এসব লিচু আবাদ ও বেচাকেনায় প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। তবে তাপমাত্রা ৩০-৩২ ডিগ্রির মধ্য থাকলে লিচুর ফলন আরও বেশি হতো বলে জানান তিনি।
আড়তদার মালিক সমিতির সেক্রেটারি রেজাউল করিম ও আব্দুল মান্নান জানান, মোকামে প্রতি হাজার লিচু ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ পর্যন্ত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হবে এ মোকাম থেকে।
লিচুচাষি রবিউল করিম, আব্দুল্লাহ, ইউসুফ আলী, মোবারক আলীসহ অনেকে জানান, লিচুর ন্যায্য দাম পেয়ে তারা খুশি। এ আড়ত থেকে প্রতিদিন ৩০-৪০ ট্রাক লিচু (প্রতি ট্রাকে ২০০ ঝুড়ি, এক ঝুড়িতে ২ হাজার ২০০টি লিচু থাকে) ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গুরুদাসপুরে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, উপজেলার ৪১০ হেক্টর জমির মধ্যে ৩৯৫ হেক্টর মোজাফ্ফর এবং ১৫ হেক্টর জমিতে বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচুর আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৫৭০টি বাগানে ৩ লাখ ৬৯০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বিক্রয়মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/ইএ