ভৈরবে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ভৈরব পৌর শহর এলাকায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৩৪ মেগাওয়াট। কিন্তু আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট। এতে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
ভৈরবে জব্বার জুটমিলসহ ছোট-বড় তিন হাজার কলকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে পাদুকা কারখানা রয়েছে ১০ হাজার। আবাসিক-বাণিজ্যিক মিলিয়ে ভৈরবে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ভৈরব পৌর শহরের বাসিন্দা রায়হান মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যে যেভাবে দিনে-রাতে লোডশেডিং হচ্ছে তাতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বিশেষ করে রাতের বেলায় আমরা সারাদিন কাজ শেষ করে বিশ্রামের জন্য বাসায় যাই। কিন্তু সেই সময়েও আমরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাই না। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টার আগে আসে না।’
স্থানীয় পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আল-আমিন অভিযোগ করে জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে পাদুকা কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় উৎপাদন ঠিকমতো হচ্ছে না।
ভৈরব চেম্বার সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, লোডশেডিংয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ভৈরবে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৩৪ মেগাওয়াট। কিন্তু আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রতিদিন ১৮ মেগাওয়াট। ফলে প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে খুব শিগগির বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
রাজীবুল হাসান/এসআর/জিকেএস