সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষে বেশি ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা
নাটোরের সিংড়ায় বোরো ধানের ফলন বাড়ানোর জন্য সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারে ট্রেতে চারা উৎপাদনের ফলে খরচও কম হয়। এদিকে শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয় হওয়ায় এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। শুধু তাই নয়, এ পদ্ধতিতে বিঘায় প্রায় ৩৩ মণ ধান উৎপাদন হয়। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এ বছর প্রথম ৫০ একর জমিতে সমলয় চাষাবাদ করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা ১১টায় সিংড়া পৌরসভার বালুভরা এলাকায় বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবু নাছের ভূঁঞা।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল ইমরান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন ও কৃষক আ. রাজ্জাক।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে শ্রমিক, সার, বীজ সাশ্রয় হয়েছে। এমনকি ফলনও বেশি হয়েছে।
কৃষক আ. রাজ্জাক বলেন, এ পদ্ধতি আগে কখনো দেখিনি। প্রথমবারের মতো কৃষি কার্যালয়ের আগ্রহে এবং তাদের তত্ত্বাবধানে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ করেছি। এ উপজেলায় ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। আশা করি ভালো ফলন হবে। এ বছর ফলন ভালো হলে কৃষকদের আগ্রহও বাড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা জাগো নিউজকে বলেন, জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটানোর জন্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। সমলয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ ধানের উৎপাদন খরচ কমানো ও সময় সাশ্রয় হবে। এ পদ্ধতিতে শতকে এক মণ ধান উৎপাদন সম্ভব।
রেজাউল করিম রেজা/এসজে/এমএস