কুমার নদে পানি বাড়ছে, স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ০৮ মে ২০২৩
বাঁশ দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা এলাকাবাসীর

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় কুমার নদে পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের নীলাম্বর্দী গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেসম্বর্দী যুব উন্নয়ন সমিতি নামের একটি স্থানীয় সংগঠন ও স্থানীয়রা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এক সপ্তাহ ধরে এ কাজ করছেন। প্রায় ১ হাজার মিটার নদের পাড়ে বাঁশ দিয়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার নদের পাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।

বেসম্বর্দী যুব উন্নয়ন সমিতির ক্যাশিয়ার ও সাবেক ইউপি সদস্য হালিম হাওলাদার বলেন, আমাদের জমি ও ৪০টি বাড়িঘর এরই মধ্যে নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ৪০টি বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ আছে। তাই বর্ষা শুরুর আগেই আমরা বাঁশ দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।

স্থানীয় যুবনেতা হেমায়েত হোসেন হিমু বলেন, বেসম্বর্দী যুব উন্নয়ন সমিতি ও স্থানীয়রা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভাঙনরোধের জন্য কাজ করা হচ্ছে। যাতে বর্ষা মৌসুমে এখানের প্রায় ৪০টি ঘর রক্ষা পায়।

ভুক্তভোগী আজিজুল মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে নদী শাসনের বাঁধ না দিলে যেকোনো সময় ভেঙে বেশ কয়েকটি পরিবারকে জায়গা-জমি হারিয়ে গৃহহীন হতে হবে। তাই বর্ষার আগেই সরকারিভাবে মজবুত বাঁধের ব্যবস্থা করলে হয়তো বেঁচে যাবে বেশ কয়েকটি পরিবার। তাই সরকারের কাছে দাবি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

বেসম্বর্দী যুব উন্নয়ন সমিতি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও মাদারীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খান সম্প্রতি নদ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছেন দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি দ্রুত সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।