সেবার মানে অসন্তোষ

মাদারীপুরে সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহক মাত্র ২৫০

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী , জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ০৭ মে ২০২৩

মাদারীপুরে সেবার মান খারাপ হওয়ায় দিনেদিনে সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। গ্রাহকদের দাবি, দেশে বেসরকারি ইন্টারনেট সেবার মানের উন্নতি হলেও মাদারীপুরে সরকারি ইন্টারনেট সেবার বেহাল দশা। তাই জেলাজুড়ে বেসরকারি ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহকের বিপরীতে সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ২৫০।

এদিকে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২৯ জনবলের বিপরীতে মাত্র ১৪ জন দিয়ে সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিটিসিএল, বিভিন্ন কোম্পানি ও গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৯১৭ জন। এর মধ্যে আড়াইশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন। আর লাইসেন্সধারী ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ অবৈধ বিভিন্ন কোম্পানির এমন ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।

jagonews24

স্থানীয় একটি পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদ হোসেন বলেন, আগে অফিসে সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। এখন করি না। কারণ মাসের মধ্যে ১০/১২ দিনই সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। বার বার বললেও ঠিক করে না। তাই বর্তমানে বেসরকারি ইন্টারনেট বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছি।

মাদারীপুরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিনহা কম্পিউটার প্রশিক্ষক কেন্দ্রের মালিক এমদাদুল হক মিলন বলেন, ব্যবসার প্রথমদিকে সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। ইন্টারনেট সেবার মান খারাপ ও ধীরগতি। তাই কয়েক বছর ধরেই বেসরকারি ইন্টারনেট ব্যবহার করছি।

jagonews24

বেসরকারি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আদর্শ অনলাইন নেটওয়ার্কের প্রোপ্রাইটার মো. শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই গ্রাহকের চাহিদা মতো ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছি। দিনেদিনে আমাদের গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। কোনো গ্রাহকের অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দেওয়া হয়। তাই আমাদের নেটওয়ার্কের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা অনেক বেশি। ইন্টারনেটের গতিও অনেক বেশি।

বিটিসিএল মাদারীপুর অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল হোসেন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শেষে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে হাঁটছে দেশ। সেই লক্ষ্যেই মাদারীপুরে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে নতুন নতুন গ্রাহক জিপন ইন্টারনেট সার্ভিসের জন্য আবেদনও করছেন। তাদের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের ২৯ জন জনবলের বিপরীতে আছে ১৪ জন। তা দিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ঘাটতি জনবল পাওয়া গেলে সেবার মান আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।