৩ স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ, নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন জুলকার
একে একে চলে গেছে তিন স্ত্রী। এ থেকে তৈরি হয় ক্ষোভ। এরপর থেকেই রাতের আঁধারে ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন জুলকার খা। পরে তাদের ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক ও অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
পুলিশ জানায়, শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে প্রায় দুই বছর ধরে রাতের আঁধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলছিলেন জুলকার খা। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (৪ মে) শৈলকুপা থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় শুক্রবার ভোরের দিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে জুলকার খা ও তার প্রেমিকা জান্নাতী খাতুনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা।
গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার সাফখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খার ছেলে জুলকার খা (৩৫) ও একই গ্রামের শামসুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতী খাতুন (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, জুলকার খার মোবাইলে প্রায় ৫০টির মতো ভিডিও পাওয়া গেছে। নগ্ন ছবিও রয়েছে। তবে অন্য মোবাইলে আরও ভিডিও আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে জুলকার খা জান্নাতী খাতুনকে ব্ল্যাকমেল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেস। তবে অন্য নারীদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, জুলকার খার তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। পরে ওই গ্রামের জান্নাতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর জান্নাতী তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড তাকে দেন ব্যবহারের জন্য। তখন থেকে শারীরিক চাহিদা পূরণ, নারীদের প্রতি আসক্ততা ও অর্থ আত্মসাতের ইচ্ছায় রাতের আঁধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন জুলকার খান। তবে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি পাওয়া যায়নি।
সাফখোলা গ্রামের আকিবুল ইসলাম রানা বলেন, ‘জুলকার খা গ্রামে কৃষিকাজ করতো। জান্নাতী খাতুনকে তার স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতো। তাদের গ্রেফতার পর জানতে পারলাম তারাই এ কাজ করতো। পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রফতারের পর আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। এখন তাদের সঠিক বিচার হোক এটাই প্রত্যাশা আমাদের।’
গত ২৩ এপ্রিল রাতে সাফখোলা গ্রামের একটি বাড়িতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারণের সময় বাড়ির লোকজন ওই ব্যক্তির হাতে আঘাত করেন। এতে তিনি মোবাইল ফোনটি ফেলে পালিয়ে যান। পরে মোবাইল চেক করে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এএসএম