করিমগঞ্জে ইউএনওর নাজিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ০৩ মে ২০২৩
সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী মুহিত উদ্দিন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির আতাউর রহমান খান মিন্টুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে তাড়াইল উপজেলার পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মুহিত উদ্দিন খান এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান খান মিন্টু একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও চাকরিজীবনে দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ২০০৬-২০০৭ সালে জেলার ইটনায় উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালে তিনি ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল টাকা কামিয়েছেন। তার এসব ঘুস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় তখন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পরে তাড়াইল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালেও আতাউর রহমান খান মিন্টু ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন।

মুহিত উদ্দিন আরও বলেন, করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে দায়িত্বে থেকে তিনি বর্তমানে ঘুস-দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন। এসব ঘুস-দুর্নীতির টাকায় তিনি বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অংশীদার হওয়াসহ একাধিক জায়গাজমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ করছেন। এরমধ্যে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আতাউর রহমান খান মিন্টু তাড়াইল উপজেলার দশদ্রোন ও পংপাচিহা মৌজায় প্রায় ৯৪ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ জমি ক্রয়েও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। জমিদাতারা বংশগত কেউ না হলেও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে নামমাত্র মূল্য ১১ লাখ ৩ হাজার টাকায় দানপত্র দলিল করেছেন। অথচ বাজারমূল্যে এ জমির দাম অন্তত ৫০ লাখ টাকা। দুর্নীতির টাকায় আতাউর রহমান খান মিন্টু কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পাগলা মসজিদ ও গাইটাল এলাকায় দুটি জায়গা কিনেছেন।

ব্যবসায়ী মুহিত বলেন, আতাউর রহমান খান মিন্টুর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া অভিযুক্তকে স্বপদে রেখেই জেলা প্রশাসনের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আতাউর রহমান খান মিন্টুর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জমি বিক্রেতা পাঞ্জু ভূঁইয়া বলেন, আমার ছেলে হিরণ আর নাজির মিন্টু মিলে কীভাবে দলিল করেছে বিষয়টি আমি বলতে পারছি না।

জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব বলেন, কেউ তথ্য গোপন করে দলিল করলে প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে আতাউর রহমান মিন্টু সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তবে জমি কিনে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত নাজির আতাউর রহমান খান মিন্টুর বিরুদ্ধে কেউ লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।