আয়-ব্যয়ের ব্যবধান

ভালো আছে শ্রমজীবীরা, গরিব হচ্ছে মধ্যবিত্ত

আমিন ইসলাম জুয়েল আমিন ইসলাম জুয়েল , জেলা প্রতিনিধি ,পাবনা
প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ০১ মে ২০২৩
এখন সবচেয়ে বিপাকে মধ্যবিত্ত-ছবি জাগো নিউজ

অডিও শুনুন

গ্রামীণ মধ্যবিত্তরাই দ্রুত ‘গরিব’ হচ্ছে। তারা না পারছেন হাত পাততে, না পারছেন টিকে থাকতে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, মজুরি বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়া, বৈরী আবহওয়া, ব্যবসায়ীদের নানা কারসাজি দিন দিন তাদের ‘গরিব’ করে দিচ্ছে। আয় বেশি হলেও সমাজে নিম্নবিত্ত হিসেবে পরিচিতরা নিজম্ব আয় ছাড়াও সরকারি নানা ভাতা ও কম দামে বা বিনামূল্যে দ্রব্য পাচ্ছেন। এতে মধ্যবিত্তের চেয়ে নিম্নবিত্তরা অপেক্ষাকৃত ভালো আছেন। প্রকৃত আয় বিশ্লেষণ না করে সরকারি সহায়তা ঢালাওভাবে চিহ্নিত নিম্নবিত্তদের দেওয়া আর মধ্যবিত্তদের লোকলজ্জার ভয়ে ভাতা বা রিলিফের জন্য হাত না পাতার কারণে সমস্যা প্রকট হচ্ছে। এখন বাস্তবতার নিরিখে সরকারি সহায়তা ও কম টাকায় পণ্য কেনার সুবিধা কথিত গরিবদের চেয়ে গ্রামীণ মধ্যবিত্তদের দেওয়া জরুরি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন>>> নতুন কর্মজীবনে লঞ্চের হকাররা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান বাজারদরের যাঁতাকলে গ্রামের মধ্যবিত্তদের রীতিমতো ‘চিড়েচ্যাপটা’ অবস্থা। তাদের আয় কমেছে অথচ দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। সামাজিক অবস্থান ধরে রাখতে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। কারও কারও সংসারের খরচ কমাতে কমাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে কিন্তু বলতে পারছেন না। মধ্যবিত্ত বলে পরিচিত পরিবারের লোকজনের চেহারায় এখন বিষণ্নতার ছাপ স্পষ্ট। নিম্ন আয়ের লোকজন সরকার ও বিত্তবানদের কাছ থেকে নানা সাহায্য-সহায়তা পেলেও মধ্যবিত্তরা সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় কারও কাছে হাত পেতে সাহায্য নিতে পারেন না। তাদের সহায়তা দিতেও কেউ এগিয়ে আসে না। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে।

jagonews24মজুরি বেড়েছে শ্রমিকদের-ছবি জাগো নিউজ

পাবনার বিভিন্ন উপজেলার কৃষিজীবী মধ্যবিত্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভালো নেই। তারা জানিয়েছেন, ৭-৮ বছর ধরে কৃষিকাজ করে তারা খুব কমই লাভবান হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের চাষাবাদের ব্যয়ের সমান খরচ ওঠাতেই হিমশিম খাচ্ছেন আবার ক্ষতিও হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা জানান, ফসল বিক্রি করে খরচের সমান হলে তাদের লাভ কী? এভাবে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এতে দেনার দায়ে জর্জরিত হচ্ছে অনেক পরিবার। অনেকে জমি বিক্রি করে সমাজে স্ট্যাটাস ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বেশকিছু পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তারা আর এখন ভালো বাজার করতে পারেন না। ফলে দৈনন্দিন খাবারের তালিকাও নিম্নমানের হচ্ছে। অনেক পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, গরু-খাসির মাংস কোরবানির ঈদ ছাড়া তারা খেতে পারছেন না। কিন্তু সমাজে ‘গরিব’বলে পরিচিত দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালক, অটো-বাইক বা অটো রিকশাচালক, মুদি দোকানদার, সবজি বা ফল বিক্রেতা, ইটভাটা শ্রমিক, মেকানিক ও দর্জিরা ভালো আছেন। তাদের বাজারের মান বেড়েছে। কারণ তাদের প্রত্যেকের মজুরি বা আয় বেড়েছে বা নিজেরাই বাড়িয়েছেন।

পাবনার বেশকিছু তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি খাতে চাকরি করা পেশাজীবীরা জানিয়েছেন, তাদের বেতন বাড়ে না বিগত ৮ বছর ধরে। কিন্তু প্রান্তিক শ্রেণির সব শ্রমিকের আয় বেড়েছে। যারা স্বতন্ত্র পেশাজীবী হিসেবে কাজ করেন তারা তাদের রেট বাড়িয়ে দিয়েছেন। মধ্যবিত্ত বলে পরিচিত পেশাজীবীরা জানিয়েছেন তারা সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও কারও কাছে হাত পাততে পারছেন না। লোক-লজ্জার ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদে রিলিফের লাইনে স্ত্রীকে দাঁড় করাতে পারছেন না। তাদের সামাজিক পরিচিতি আয় বাড়াতে সহায়ক না হলেও রিলিফ চাওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না। তারা জানান, এক্ষেত্রে ভ্যান-রিকশা, অটোরিকশা চালক বা কৃষি মজুরের দৈনিক আয় বেড়েছে। তারা আবার রিলিফও নিচ্ছেন। তারা ১০ টাকা কেজির চাল নিচ্ছেন, ভিজিডি-ভিজিএফ পাচ্ছেন, স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য নিচ্ছেন আবার ঈদের আগে ‘গরিব’দের জন্য দেওয়া চালও নিচ্ছেন। যদিও আয়ের হিসাবে এখন সবচেয়ে ‘গরিব’ হলেন গ্রামীণ মধ্যবিত্তরা।

jagonews24কৃষিকাজ করতে পারছেন না অনেক মধ্যবিত্ত-ছবি জাগো নিউজ

গ্রামীণ মধ্যবিত্ত বলে পরিচিত বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে ভিতরের অনেক চিত্র উঠে এসেছে। কয়েকজন জানান, একজন অটো রিকশা বা অটোবাইক চালকের দৈনিক আয় গড়ে এক হাজার টাকার ওপর। মানে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা। আর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একজন কর্মচারীর দৈনিক আয় গড়ে ২৫০- ৩০০ টাকা। অটোরিকশাচালক নিম্নবিত্ত বলে সমাজে পরিচিত কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা লোকটি সামজে মধ্যবিত্ত বলে পরিচিত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একজন নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীও মাসে পান মাত্র ১৫-১৬ হাজার টাকা। তারা জানান, এই সমাজে কাজের শ্রেণির ওপর নির্ভর করে ধনী-গরিব নির্ধারণ করা হয়। একজন চা বিক্রেতা যে দৈনিক এক হাজার কাপ চা বিক্রি করে তাকেও কম বেতনে চাকরি করা মানুষ গরিব মনে করে। তারা প্রশ্ন করেন আসলে গরিব কে? যে চা বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করে সে নাকি যে চাকরি করে মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পায় সে? তারা জানান, সরকারি সহযোগিতা, স্বল্পমূল্যে পণ্য কেনার সুবিধা কথিত গরিবদের দিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বাজারে আরও প্রতিযোগিতায় ফেলা হচ্ছে।

কয়েকজন পেশাজীবীর সাথে সরেজমিন এ প্রতিনিধির কথা হয়। পাবনার বনগ্রাম বাজারে ফুটপাতের চপ-বড়ার দোকানদার জহুরুল ইসলাম জানান, তার মাসে আয় অর্ধ লাখ টাকা। তিনি তিনজন শ্রমিক খাটান। একজনের বেতন মাসে ১৫ হাজার আরেকজনের ৯ হাজার আর পিচ্চিটার (শিশু শ্রমিক) ৬ হাজার টাকা। তার মাসে অন্তত ২০ হাজার টাকা নিট সঞ্চয় থাকে। বেড়া উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে পেরেক বানিয়ে বিক্রি করা ২০-২২ বছর বয়সী দুই শ্রমিক জানান, তাদের দুজনের প্রতিদিন গড়ে ২৫ শ’ টাকা লাভ থাকে। অর্থাৎ দিনে ১ হাজার ২০০ টাকা মাসে ৩৬ হাজার টাকার বেশি। পাবনার কাশীনাথপুরের ইলেট্রিসিয়ান আবু সেলিম। তার প্রতিদিন আয় দেড়- দুই হাজার টাকা। পাবনা সদর উপজেলার প্লাম্বার মিস্ত্রি রফিকুল জানান, তার প্রতিদিনের আয় দেড়-দুই হাজার টাকা। সময়ের সাথে সাথে তারা মজুরি বেশি নিচ্ছেন বলে জানান। কথা হয় সুজানগর উপজেলার টাইলস মিস্ত্রি আব্দুর রহিমের সঙ্গে।

jagonews24জমিতে ফসল বুনে লাভ পান না কৃষক-ছবি জাগো নিউজ

তিনি জানান, চার বছর আগে ১০ টাকা ফিট কাজ করতেন। এখন ১৬ টাকা ফিট দরে কাজ করেন। ওয়াল আরও ১ টাকা বেশি দর। এ হিসাবে গত চার বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে ৫০-৬০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে একজন মধ্যবিত্ত কৃষক বা সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীর আয় বাড়েনি। সাঁথিয়া উপজেলার বিল গ্যারকা পাড়ে একজন ঘোড় চালকের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি জানান, মালপত্র টেনে ভরা মৌসুমে তার দিনে আয় প্রায় দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। অন্য সময়ে এক হাজার টাকার কম হয় না।

বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুরের কলেজ শিক্ষক একরাম সালাউদ্দিন জানান, এখন বাজারে গেলেই বোঝা যায় কার আয় কেমন। আসলে কারা এখন মধ্যবিত্তর আসনে সে হিসেব নতুন করে করা দরকার। পাবনা শহরের তৃতীয় শ্রেণির একজন সরকারি কর্মচারী মাহফুজুল ইসলাম লিটু বলেন, আমরা অটোরিকশায় চড়ি। আপাতদৃষ্টিতে আমি অটোরিকশা চালকের চেয়ে ধনী। আসলে তার আয় আমার দ্বিগুণ। তাই এখন সমাজে নিম্নবিত্ত বলে পরিচিতদের বাজারের মেন্যু মধ্যবিত্তদের চেয়ে উঁচুতে।

jagonews24মাঠে কাজ করছেন কৃষক-ছবি জাগো নিউজ

পাবনার বিল গ্যারকা পাড়ের চাষি হাফিজুর রহমান জানান, তিনি অন্তত ৩০ বিঘা জমি চাষাবাদ করেন। কৃষিতে প্রতি বছরই ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এভাবে মার খেতে খেতে তিনি গত চার-পাঁচ বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বাধ্য হয়ে কৃষিকাজ বাদ দিয়েছেন বলে জানান। একই কথা জানান বামনডাঙ্গা গ্রামের আফতাব বিশ্বাস।

তিনি জানান, কৃষিকাজ নিজে করতে গিয়ে গত দুই বছরে তার দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। চরপাড়া গ্রামের নায়েব আলী জানান, ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে নামেন দুই বছর আগে। কিন্তু কৃষিকাজ করতে গিয়ে তার অন্তত দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন তিনি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত।

চাষিরা জানান, গেরস্থরা ক্ষতির মুখে পড়লেও কামলাদের (কৃষিশ্রমিক) তো ক্ষতি নেই। তারা মজুর সংকটের নামে চড়া দামে কাজ করেন। এজন্য গ্রামের মধ্যবিত্ত কৃষকরা হাল-চাষ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সেখানে জমি লিজ নিয়ে কৃষি শ্রমিকরাই নব্য গেরস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পাবনার খ্যাতিমান চাষি আলহাজ শাহজাহান আলী বাদশা এআইপি বলেন, আমাদের সমাজে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের মধ্যে পার্থক্য নির্ভর করে কাজের ধরনের ওপর। কে কত টাকা আয় করলো সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। ত্রাণ বিতরণের সময় এই ব্যাপারটি খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমরা যাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে গরিবদের ত্রাণসামগ্রী দিয়ে থাকি তাদের অনেকের থেকে সেই ‘গরিব’ লোকের দৈনিক আয় বেশি।

jagonews24কৃষিকাজের খরচও বেড়েছে অনেক-ছবি জাগো নিউজ

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের জন্য যেদিন থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো তখন রাস্তায় রাস্তায় রিকশাচালকদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে ছেলেটা ত্রাণ বিতরণ করেছে তার থেকে রিকশাচালকের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। রিকশাচালকরা স্বভাবগত ‘গরিব।’ আর সমাজে পরিচিত মধ্যবিত্তরা হলেন স্বভাবগত ধনী। গরিব বলে পরিচিতরা সহজেই হাত পাততে পারে, তবে মধ্যবিত্ত পারে না।

বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মানিক জানান, তাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসেন সমাজের দরিদ্র বলে যারা পরিচিত তারা। মধ্যবিত্ত বলে পরিচিতরা কষ্টে থাকলেও তারা সাহায্যের জন্য হাত পাততে আসেন না, সামাজিকতার লজ্জায়। কিন্তু তাদের অনেকেই কষ্টে আছেন। অথচ দরিদ্র বলে যারা সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন বা নিচ্ছেন তাদের অনেকের সংসারের অবস্থাই ভালো।

আরও পড়ুন>>> কৃষিশ্রমিকরা এখন শহর-প্রবাসমুখী

শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ রাজশাহীর অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান বলেন, কোভিড ও কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা এবং অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতির চাপে সামাজিক স্তরবিন্যাসের সবচেয়ে বড় শ্রেণি মধ্যবিত্ত বাংলাদেশের সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত উভয় শ্রেণির মানুষই ভীষণ কষ্টে আছে। তবে বর্তমান বাস্তবতায় নিম্নবিত্তরা মধ্যবিত্তদের অপেক্ষা বেশি আয় করছে। কারণ তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে যেকোনো ধরনের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারছেন এবং এসব অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে তাদের মজুরিও ইচ্ছামতো বাড়িয়ে নিতে পারছেন।

অন্যদিকে, মধ্যবিত্ত শুধু পেশার স্ট্যাটাসজনিত কারণে নিম্নবিত্ত অপেক্ষা অধিক সামাজিক মর্যাদা পাচ্ছে; কিন্তু, সামাজিক স্তর নিয়ে অর্থনীতির ‘আয় বৈষম্য’ তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিলোপ ঘটছে। সমাজে শুধু উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত টিকে থাকছে।

এসএইচএস/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।