যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অডিও শুনুন
লক্ষ্মীপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদীসহ ৩৩ জনকে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড়ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। এতে কাশেম জিহাদীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বাবাকে মেরে ফেলেছে, তাই বাড়িতে আসেনি
কাশেম জিহাদী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নিজের নামে বাহিনী গঠন করে এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তারা মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারে হোসেন। ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মামলার বাদী মাহফুজুর রহমান বলেন, কাশেম জিহাদীসহ তার লোকজন নোমান ও রাকিবকে হত্যা করেছেন। পরিকল্পিতভাবেই জিহাদী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই। সুষ্ঠু বিচার পেতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, নোমান ও রাকিব হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ১৪-১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আসামিরা যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
কাজল কায়েস/কেএসআর