ঈদের ছুটিতে পর্যটক নিয়ে হতাশ রাঙ্গামাটি
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের টানা ছুটি থাকার পরও আশানুরূপ পর্যটকের দেখা নেই পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটিতে। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও আশানুরূপ পর্যটক না আসায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটির প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, যথেষ্ট লোক সমাগম থাকলেও বেশিরভাগই স্থানীয়। ঈদ উপলক্ষে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন তারা। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো নয়। তাই বেশ কয়েক মাসের পর্যটকের ক্ষরা কাটানোর আশা থাকলেও সেই আশা পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের।
হোটেল নাদিশা ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে আমরা সবসময় বাড়তি একটা প্রস্তুতি রাখি। কারণ এই সময়টাতে প্রচুর পর্যটক আসে রাঙ্গামাটিতে। কিন্তু এবার আমরা খুবই হতাশ। যেমন পর্যটক আশা করেছিলাম তার অর্ধেকও আসেনি।
হোটেল গ্রিন ক্যাসেলের ম্যানেজার মো. শরীফ বলেন, আমাদের এখানে মোট ৩৭টি রুম রয়েছে। কিন্তু এখন রুম খালি আছে প্রায় ১৮টির বেশি। সুতরাং আমাদের বুকিং ৫০ শতাংশের বেশি নয়। আমরা আরও অনেক বেশি পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করেছিলাম।
এই অবস্থার প্রভাব পড়েছে রাঙ্গামাটির টুরিস্ট বোট সংশ্লিষ্টদের ওপরও। আশানুরূপ পর্যটক না আসায় ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
রাঙ্গামাটি পর্যটন ঘাটের ইজারাদার এবং ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, ঈদের জন্য আমরা খুব ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম ছুটিতে ভালোই পর্যটক আসবে। কিন্তু আমাদের আশা অনুযায়ী পর্যটক আসেনি। তাই অনেক বোট চালকই ভাড়া না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৃজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ ট্যুরিস্ট এসেছেন আমরা আশা করেছিলাম এর থেকে আরেকটু বেশি আসবেন। কিন্তু যেহেতেু দাবদাহ চলছিল তাই আবহাওয়াজনিত কারণে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি। বর্তমানে আমাদের ৭০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।
এফএ/এমএস