চায়ের রাজ্যে দেখা নেই পর্যটকের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

অডিও শুনুন

ঈদ উৎসবে জেলার বাইরের পর্যটকদের আনাগোনা কমেছে চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে। রিসোর্টগুলোতেও সিট বুকিং নেই। এ নিয়ে হতাশ হোটেল রিসোর্ট সংশ্লিষ্টরা।

চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সবুজ প্রকৃতির নান্দনিক পর্যটন স্পট ঘুরে দেখার জন্য প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে ঢল নামে প্রকৃতিপ্রেমিদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। রমজানের একমাস মন্দা থাকলেও ঈদে তা কাটিয়ে ওঠেন হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা। কিন্তু এবারের ঈদে তা হয়নি। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম সিট বুকিং হয়েছে এবার। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমরা পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত থাকলেও নেই তাদের আনাগোনা। মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পে আকৃষ্ট করার মত নতুন কিছু নেই। এছাড়া ভ্রমণপিপাসুদের আর্থিক সংকট ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা।

চায়ের রাজ্যে দেখা নেই পর্যটকের

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: পর্যটক খরা কাটিয়ে ঈদে ভালো ব্যবসার আশা

কথা হলে হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক জাগো নিউজকে বলেন, রমজানে একমাস মন্দা ছিল। আশা ছিল ঈদ উৎসবে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে। পর্যটক না আসায় সব আশার গুড়েবালি।

মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলোকে যুগান্তকারী উন্নয়নের মাধ্যমে ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে আর্কষণীয় করে না তুলতে পারলে এই খাত ক্ষতির মুখে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চায়ের রাজ্যে দেখা নেই পর্যটকের

আরও পড়ুন: ভূ-স্বর্গ থেকে যেন একেবারে ভূ-নরকে!

ঢাকা ট্যুর প্লানের পরিচালক আফতাব আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এবারের ঈদ উৎসবে দাবদাহ আর ঝড়বৃষ্টির ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকার পর্যটকরা বাইরে যেতে আগ্রহ হারিয়েছেন। আর্থিক বিষয়টিও হিসেবে রয়েছে তাদের।

বিজ্ঞাপন

গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সহকারী ব্যবস্থাপক বশির আহমদ বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় পর্যটক খুবই কম এসেছে। আমরা এ নিয়ে চিন্তায় আছি।

আব্দুল আজিজ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।