টানা সরকারি ছুটিতেও পর্যটকের সাড়া নেই বান্দরবানে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২৩

ভ্রমণপ্রিয়দের পদচারণায় সারাবছর মুখর থাকে পাহাড়কন্যা বান্দরবান। বিশেষ ছুটির দিনে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে এবার প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। শবে কদর, সাধারণ ছুটি ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ছয়দিনের সরকারি ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাচ্ছেন না বান্দরবানের আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ২৪ ও ২৫ এপ্রিলের জন্য মাত্র ২০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। হাতেগোনা দু-চারটি কক্ষে পর্যটক রয়েছেন। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ১০ শতাংশেরও কম। এছাড়া জেলার তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় আগামী ছুটির দিনগুলোতে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন তারা।

হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আক্কাস উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার পর্যটকদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ঈদ উপলক্ষে টানা ছয়দিনের বন্ধে ৭২টি কক্ষের মধ্যে মাত্র ২৫টি কক্ষ বুকিং হয়েছে।

হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালির দ্বায়িত্বে থাকা মো. জাহিদ জানান, বর্তমানে তাদের হোটেলে কোনো পর্যটক নেই। আগামী ২৪ ও ২৫ এপ্রিলের জন্য মাত্র ১০টি কক্ষ বুকিং হয়েছে। তাদের হোটেলে কক্ষ রয়েছে ৪৬টি।

টানা সরকারি ছুটিতেও পর্যটকের সাড়া নেই বান্দরবানে

হোটেল প্যারাডাইসের দায়িত্বে থাকা নিম্রোদ ত্রিপুরা জানান, তাদের হোটেলে ২২টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ এপ্রিলের জন্য পাঁচটি কক্ষ বুকিং নিয়েছেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা।

হোটেল হিল ভিউয়ের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে এসময় ৮০ ভাগ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে নিতেন ভ্রমণপ্রত্যাশীরা। এবার পাঁচ শতাংশ কক্ষও বুকিং হয়নি। সমসাময়িক রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও তিন উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার পর্যটকের তেমন সাড়া নেই।

টানা সরকারি ছুটিতেও পর্যটকের সাড়া নেই বান্দরবানে

তিনি বলেন, বান্দরবান সদর এলাকায় ৭০টি আবাসিক হোটেল, মোটেল ও কটেজ মিলে প্রায় ছয় হাজার পর্যটক ধারণক্ষমতা রয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ বুকিং হলে ৫০ লাখ টাকা আয় হয়। তবে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে তিন উপজেলায় দফায় দফায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বান্দরবান ভ্রমণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন পর্যটকরা।

বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পোশাক ও সাদা পোশাকে প্রতিটি পর্যটন স্পটে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।