ভুল ওয়ারেন্টে বাড়তি হাজতবাস

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সহকারী জজ কাম পারিবারিক আদালতে মূল মোকদ্দমায় রোববার (১৬ এপ্রিল) জামিন পান আসামি উজ্জ্বল মিয়া। কিন্তু অন্য একটি মোকদ্দমায় ভুল ওয়ারেন্টের কারণে বাড়তি একদিন হাজতবাস করতে হয়েছে তাকে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ইফতারের পর জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এ ঘটনায় আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ভুক্তভোগী উজ্জ্বল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১১/১৬ নম্বর পারিবারিক মোকদ্দমায় উজ্জ্বল মিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে বাদী আছমা আক্তারের প্রাপ্য দেনমোহর ও ভরণপোষণ বাবদ আদালতে এক লাখ টাকা জমা দেন বিবাদী উজ্জ্বল মিয়া। বাকি টাকা কিস্তিতে দেওয়ার আবেদন করলে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রোববার তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্য এক মোকদ্দমায় (নম্বর ৮/০৯) উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু থাকায়। অথচ তিনি এ মামলার কোনো বিবাদী নন। মূল মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় ভুল ওয়ারেন্টের কারণে কারাগারের গেট থেকেই তাকে আবারও কারাগারে যেতে হয়। পরে আইনজীবী রিকল হওয়া মর্মে জরুরি আদেশের আবেদন করলে আদালত তা বিবেচনায় নিয়ে উজ্জ্বল মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে উজ্জ্বল মিয়ার আইনজীবী মায়া ভৌমিক জানান, ৮/০৯ নম্বর মোকদ্দমার বাদী সুরমা আক্তার। বিবাদী মিন্টু মিয়া। অথচ বিবাদী মিন্টু মিয়ার স্থলে উজ্জ্বল মিয়ার নাম লিখে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। ফলে তাকে বাড়তি একদিন হাজতবাস করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে সেরেস্তাদারের কারণে এমনটি হয়েছে, তিনি বেশ কিছুদিন আগে অবসরে গেছেন। একজন মানুষকে সেরেস্তাদারের ভুলের কারণে কেন বাড়তি হাজতবাস করতে হবে, সে প্রশ্ন করেন আইনজীবী। এটি ভুল মানতেও নারাজ তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুল হলে মিন্টুর স্থলে মন্টু বা সেন্টু হতে পারতো। মিন্টুর স্থলে উজ্জ্বল হয় কেমন করে?

বর্তমান সেরেস্তাদার মুকসেদ মিয়া বলেন, অবসরে যাওয়া সেরেস্তাদার লুৎফুর রহমানের ভুলে এমনটি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সেরেস্তাদারের ভুলের কারণে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দ্রুত ব্যবস্থাও নিয়েছেন।

এসআর/জেআইএম