ঈদ বাজারেও মুখে হাসি নেই রাজবাড়ীর পাদুকা কারিগরদের

রুবেলুর রহমান
রুবেলুর রহমান রুবেলুর রহমান , জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদে নতুন জামা-কাপড়ের সঙ্গে নতুন জুতা বা স্যান্ডেলের বিকল্প নেই। ফলে রাজবাড়ীতে জুতার শো-রুমগুলোতে ভিড় থাকলেও ক্রেতা সংকটে হতাশায় ভুগছেন জেলার পাদুকা (স্যান্ডেল) তৈরির কারিগররা।

ক্রেতাদের দাবি, বানানো স্যান্ডেল নিজেদের পছন্দের ডিজাইন ও মাপ অনুযায়ী বানানো যায়। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি। অন্যদিকে কারিগররা বলছেন, বেশি দামে কাঁচামাল কিনে স্যান্ডেল তৈরি করতে খরচ বেশি পড়ছে। যে কারণে দামও বেশি।

jagonews24

ঈদে নিজেকে নতুন রূপে সাজাতে পোশাকের পাশাপাশি চটি স্যান্ডেলের প্রচুর চাহিদা থাকে। সেদিক বিবেচনা করেই কারিগররা বিভিন্ন ডিজাইনের স্যান্ডেল তৈরি করে রেখেছেন। তাছাড়া অর্ডারের মাধ্যমেও ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী স্যান্ডেল তৈরি করেন তারা। তবে এবার অর্ডার কম পাচ্ছেন।

রাজবাড়ী শহরে বিকাশ সুজ, নিশান সু-স্টোর, গোবিন্দ সুজ, চন্দন সু-স্টোরসহ প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি স্যান্ডেল তৈরির দোকান আছে। এখানে হাফ সু, এক পাঞ্জা, বেল্ট ও দুই ফিতার চটি স্যান্ডেল তৈরি করেন কারিগররা। বর্তমানে হাফ সু ৮৫০, ফিতা স্যান্ডেল ৪০০ থেকে ৬০০ এবং দুই ফিতার চটি স্যান্ডেল ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

jagonews24

ক্রেতা নিয়ামুল মৃধা বলেন, বানানো স্যান্ডেল অনেক ভালো ও টেকশই হয়। পায়ের গঠন অনুযায়ী ফিট করে বানিয়ে নেওয়া যায়। যে কারণে শো-রুমে না গিয়ে স্যান্ডেল বানানোর দোকানে এসেছি। কারিগররা সুন্দর সুন্দর স্যান্ডেল তৈরি করে রেখেছেন। তবে এবার দাম অনেক বেশি। নতুন পোশাকের সঙ্গে নতুন স্যান্ডেল পরবো বলে কিনতে এসেছি।

আরেক ক্রেতা মহিদুল ইসলাম জানান, তিনি নিয়মিত বানানো স্যান্ডেল ব্যবহার করেন। যে স্যান্ডেল এর আগে দুই থেকে আড়াইশ টাকায় কিনেছেন এবার তার দাম ৫০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। ফলে পছন্দ হলেও দামে পোষাচ্ছে না। দাম আরেকটু কম হওয়া উচিত ছিল।

jagonews24

নিশান সু-স্টোরের মালিক সোহাগ রবি দাস বলেন, ঈদ উপলক্ষে বহু ডিজাইনের স্যান্ডেল তৈরি করে রেখেছি, কিন্তু ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না। তাছাড়া এবার অর্ডারও কম। আমাদের স্যান্ডেল চামড়ায় তৈরি। এবার বেল্ট, চটি ও হাফ সু বেশি তৈরি করেছি। বেল্ট স্যান্ডেল ৪০০ থেকে ৬০০, চটি সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ এবং হাফ সু সাড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, কাঁচামালের দাম বেশি হওয়ায় স্যান্ডেল তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে। যে কারণে দাম একটু বেড়েছে। তবে আমরা যে দামে নিচ্ছি সে তুলনায় জিনিস ভালো।

সোহাগ আরও বলেন, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও তেমন ক্রেতা নেই। শহরের প্রায় প্রতিটি দোকানের একই অবস্থা। তবে আশা করছি, সামনে বিক্রি বাড়বে।

 

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।