হাফেজ হওয়া হলো না আবিদ হাসানের, পানিতে ডুবে মৃত্যু
বন্ধুদের নিয়ে নদীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে পানিতে ডুবে আবিদ হাসান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর তিনডার মুখ এলাকা আবিদ হাসানের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
আবিদ হাসান আংগারিয়া ওসমানিয়া কওমি মাদরাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। সে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া দাঁদপুর গ্রামের মফিজুর রহমান শিকদারের ছেলে।
পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কাউকে না জানিয়ে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির পাশের কীর্তিনাশা নদীতে সাঁতার শিখতে যায় আবিদ হাসান। তারপর বন্ধুরা কিছুক্ষণ তাকে সাঁতার শিখিয়ে নদীর তীরে রেখে একটি বালুবাহী জাহাজের পেছনে ঢেউ খেলতে নদীতে নামে। এরপর তীরে এসে তারা আবিদকে দেখতে পায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীর তিনডার মুখ এলাকায় আবিদের মরদেহ পাওয়া যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবিদ হাসানের বাবা মফিজুর রহমান শিকদার বলেন, ‘আমার সব কিছুই শেষ হয়ে গেলো। ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে মরতে পারলাম না। আল্লাহ তুমি ওরে জান্নাত দিও।’
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, সোমবার দুপুরে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের যৌথ টিম নদীতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। তবে অনেক চেষ্টার পরও আবিদ হাসানের কোনো খোঁজে পাওয়া যায়নি। এসময় মাদারীপুরের ডুবুরিদের একটি দলও ছিল। আজ দুপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে আবিদের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনলাম।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ব্যাপারটি দুঃখজনক। আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। তবে এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার থেকে কোনো মিসিং অভিযোগ পাইনি।
এসআর/এমএস