৬ মাসেও পাত্রী জোটেনি, ভাতিজিকে তুলে নিলেন প্রবাসী চাচা
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ছয় মাসেও বিয়ের পাত্রী না পেয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) তুলে নিয়েছেন মো. সুমন (৪০) নামে প্রতিবেশী এক প্রবাসী চাচা।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মাইক্রোবাসসহ সুমনসহ তার সাত সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- নরোত্তমপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লুৎফুল হক সর্দারের ছেলে মো. সুমন (৪০), তার ভাগিনা হাছান (২০), আলাউদ্দিন ইমন (২৫), সহযোগী মিজানুর রহমান মিজান (২৮), আবদুর রহিম (২০), মো. সাগর (২৮) মাইক্রোবাসচালক মো. ইয়াছিন আরাফাত সাকিব (২৩) ও চালকের সহকারী সাবের হোসেন সাব্বির (২১)। তাদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় সুমনের বোন ভাগিনাসহ আরও ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন কবিরহাট থানায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছয়মাস আগে সুমন সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। পরে প্রতিবেশী এক মৃত ভাইয়ের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। সোমবার ইফতারের সময় সহযোগীদের নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান সুমন। এ সময় স্কুলছাত্রীর মা ও ভাবিকে মারধর করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চেকপোস্ট বসিয়ে মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করা হয়। সুমন ভাতিজিকে বিয়ে করার জন্য তুলে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/এএসএম