আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির তালুকদারের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, মো. আজিজ শেখ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিলন শেখ, মো. খায়রুল শেখ, রুম্মান তালুকদার, ডালিম শেখ ও আশ্রাব আলী শেখকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান লাল, সভাপতি প্রার্থী ওয়ার্ড মেম্বার জাকির তালুকদার, শাওন শেখ, নাজমুল হাসান, আরিফ শেখ, আউয়াল তালুকদার আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও ইউপি সদস্য মো. জাকির তালুকদার সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে একে অপরের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সময়ে গাবতলা স্কুলের সামনে কমিটি গঠন করতে যাই আমরা। স্বাগত বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য জাকির তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বাহিনী লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আগে আমাদের নেতাকর্মীরা সুস্থ হোক। এরপর কী করা যায় সেটা ভাবা যাবে।
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য জাকির তালুকদার বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করার পাঁয়তারা করছিলেন চেয়ারম্যান, হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য মিলনসহ কয়েকজন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান ও মিলনসহ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজে/জেআইএম