৫০ শতাংশ খরচ কমলো প্রান্তিক রোগীর
শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ৩টায় ভার্চুয়ালি চিকিৎসকদের এ বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, মেয়র হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও প্রচারণা জরুরি বলে দাবি রোগী ও স্বজনদের। হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় প্রথম সেবা গ্রহীতা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন খুব সহজ হলো। হাসপাতালেই প্রাইভেট চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তবে এ বিষয়টা সাধারণ মানুষদের কাছে প্রচার করা লাগবে।
আরেক রোগী আছিয়া খাতুন বলেন, আগে তো পাঁচ টাকার টিকিটে ডাক্তার দেখাইতাম। এখন আবার চেম্বারের মতো বেশি টাকা দেওয়া লাগবে। এ কথাটা অনেকেই বুঝবে না, সবাইকে বুঝিয়ে বলতে হবে। নইলে ঝামেলা লেগে যাবে।
চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে আসা বেশিরভাগ রোগীই নিম্নবিত্ত ও সাধারণ জীবনযাপন করে। বাইরে বেশি টাকা দিয়ে ডাক্তার না দেখিয়ে এখানে এলে রোগীদের অর্থ সাশ্রয় হবে।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ কার্যক্রমের ফলে গ্রামের রোগীদের চিকিৎসা খরচ অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ কমে গেলো। হাসপাতালেই সরকারি মূল্যে টেস্ট করলে রিপোর্টও নির্ভুল পাবে রোগীরা।
নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ সরকারের একটা পার্ট। সাধারণ মানুষকে রোগমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রী নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এ সেবা চালু হলো। বাইরের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অনেক টাকা খরচ হতো। এখন সেই খরচ অনেক কমে যাবে সবার।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, অধিক প্রচারের মাধ্যমে এ সেবা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে পাইলট প্রজেক্টটার সুফল পাবে বাংলাদেশ। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা সেবার মান আরও বেড়ে গেলো। দরিদ্র রোগীরাও এখন সহজেই চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সেবা নিতে পারবে। চিকিৎসকরাও বেশি সময় নিয়ে রোগীদের পরামর্শ দিতে পারবেন।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসজে/জেআইএম