বৈকালিক চেম্বার

প্রথম দিনে মাধবপুরে দেড় ঘণ্টায় এলো ৩ রোগী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩
বৈকালিক চেম্বারে রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) থেকে চালু হয়েছে বৈকালিক চেম্বার। কিন্তু প্রথম দিনে তেমন সাড়া মেলেনি রোগীদের। বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাত্র তিনজন রোগী চিকিৎসা নেন।

বিকেলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজীব চক্রবর্তী, ডা. তারেকুজ্জামান ও ডা. রকিবুল ইসলাম প্রথম দিনের বৈকালিক চেম্বারে বসেন। উদ্বোধনী দিনে চিকিৎসকদের চেম্বারগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিনজন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে দুজনই শিশু। উপজেলার বুল্লা গ্রামের সোনিয়া আক্তারের ছেলে সায়মন বৈকালিক চেম্বারের প্রথম রোগী ছিল।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজীব চক্রবর্তী বলেন, অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত সায়মন। পেটের পীড়া ও বমিতে ভুগছে। তাই তাকে ভর্তি দিয়েছি।

তিনি জানান, ডা. রাজীব প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন ৬০০ টাকায়। কিন্তু বৈকালিক চেম্বারে ৩০০ টাকায় রোগী দেখছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ৩৬টি পদের বিপরীতে ১৩ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। ১১ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিপরীতে শিশু ও গাইনি ডাক্তার আছেন দুজন, বাকি সার্জারি, অ্যানেস্থেসিয়াসহ ৯টি পদই শূন্য বছরের পর বছর। এছাড়া প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য ল্যাব টেকনিশিয়ান, এক্স-রে টেকনিশিয়ান, রেডিওলজিস্টের সবকটি পদই শূন্য আছে। ফলে সরকারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সুবিধা না থাকায় বাইরের ক্লিনিকগুলো থেকেই এসব পরীক্ষা করাতে হতো।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুকুর রহমান জানান, মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে বিজয়নগর, নাসিরনগরসহ মাধবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ৫-৬০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পদ শূন্য থাকায় ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা না থাকায় সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাইলট প্রকল্পের আওতায় বৈকালিক চেম্বার চালু করায় আমরা খুশি। তবে এ জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা দরকার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ এইচ এম ইশতিয়াক মামুন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে পাইলট প্রকল্পের আওতায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে গুরুত্বারোপ করে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বারের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে এর কার্যক্রম শুরু হলেও তেমন প্রচার হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইডি থেকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞসহ ১০ চিকিৎসক বৈকালিক চেম্বার করবেন। বৈকালিক চেম্বার সরকারের ভালো উদ্যোগ। দ্রুত সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্যপদগুলো পূরণ করতে পারলে রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে দৌড়াতে হবে না। কম পয়সায় ভালো মানের চিকিৎসা এখানেই পাবে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।