সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকছে ভারতীয় আলু
পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নের কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে আসছে ভারতের আলু। ভারতে আলুর দাম কম হওয়ায় দেশটির ক্ষেত থেকে আলু ঢুকছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়।
রোববার (২৬ মার্চ) ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৬ বস্তা ভারতীয় আলু জব্দ করেছেন বিজিবি সদস্যরা। সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জব্দ করা আলু কাস্টমস গুদামে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল। প্রকাশ্যে ভারতীয় আলু পাচারের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আলুর ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় আলু চাষিরা।
সীমান্ত সূত্র জানায়, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া, মমিনপাড়া, তিনঘড়িয়া পাড়া এবং বাঙ্গালপাড়া গ্রামগুলো ভারতের সীমান্তঘেঁষা। এসব গ্রামের সঙ্গে ভারতীয় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিবেশীসূলভ সম্পর্ক। এসব গ্রামে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নেই।
সূত্র আরও জানায়, ভারতে বর্তমানে আলুর দাম কম। ঘাগড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতে ওইসব এলাকায় উৎপাদিত আলু স্থানীয় চোরাকারবারিরা মাত্র তিন টাকা কেজি দরে কিনে ১১-১৩ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করছেন বহিরাগত ব্যবসায়ীদের কাছে। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে পাচার হচ্ছিল ভারতীয় আলু। খবর পেয়ে রোববার অভিযান চালিয়ে ৬৬ বস্তা ভারতীয় আলু উদ্ধার করে বিজিবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে আলু পাচার হচ্ছে। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
তবে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম ছিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত এলাকায় চাষ করা আলু প্রতিদিন পরিবহন করা হয়। তবে কোনটা ভারতীয় আর কোনটা দেশীয় আলু চেনার উপায় নেই। তবে বস্তা দেখে ভারতীয় আলু বোঝা যায়।
বিজিবি ঘাগড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ সীমান্ত এলাকার উভয় পাশেই আলু চাষ করা হয়েছে। কোনটা ভারতের আর কোনটা বাংলাদেশের আলু তা বোঝা যায় না। তবে আলু পাচারের তথ্য পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম বলেন, সীমান্তে আমাদের টহল তৎপরতা জোরদার রয়েছে। উদ্ধার ভারতীয় আলু কাস্টমসে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সফিকুল আলম/এসআর/এএসএম