জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠার সময় রোষানলে সরকারি কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ২৭ মার্চ ২০২৩
জুতা পায়ে শহীদ বেদির সিঁড়িতে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক

স্বাধীনতা দিবসে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে জুতা পায়ে ফুল দিতে উঠছিলেন পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. মো. মাসুদ সিকদার। এ সময় পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বাধার মুখে এবং স্থানীয়দের রোষানলে জুতা খুলে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি।

রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ ম্যুরালে ফুল দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার।

তিনি বলে, শহীদের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে জুতা পায়ে ওঠার সময় তাকে থামিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি জুতা খুলে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠার সময় রোষানলে সরকারি কর্মকর্তা

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তিনি এত বড় একজন কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে শতাধিক মানুষের মধ্যে জুতা পায়ে শহীদ ম্যুরালে উঠলেন। তার মতো একজন বড় কর্মকর্তার কাছ থেকে এটি আশা করিনি।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার এম এ খালেক পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে শহীদ ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কীভাবে জুতা পায়ে উঠলেন। এটা আপনার মাধ্যমে জানতে চাই। তিনি যে কাজ করেছেন তার জন্য সবার সামনে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. মো. মাসুদ সিকদার বলেন, ‘আমি ভুল করে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে জুতা পায়ে ওঠার সময় পাথরঘাটা থানার ওসি নিষেধ করেন। পরে আমি জুতা খুলে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়েছি। ঘটনার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।