ফেসবুকে পাওয়া সহায়তার টাকায় ধুমধামে সুপ্তির বিয়ে
কিছুদিন আগেই সুপ্তি রানীর বিয়ে ঠিক হয় সঞ্জয় কুমার ঘোষের সঙ্গে। কিন্তু সুপ্তির অসহায় বাবা পরেশ চন্দ্র রাজবংশীর কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার মতো কোনো অর্থই ছিল না। কীভাবে মেয়ে বিয়ে দেবেন, এ চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটতো তারা।
পরেশ চন্দ্র পেশায় ছিলেন একজন জেলে। দুই বছর আগে হার্টের অপারেশনের পর থেকে তিনি আর মাছ ধরতে পারেন না। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় ছেলে গোপাল চন্দ্র রাজবংশীর (১৪) পড়াশোনা। এরপর ছেলে হাল ধরে সংসারের।
পরেশ চন্দ্র রাজবংশী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কামার বেতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলে আছে।
মেয়ে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসলে পরেশ চন্দ্র রাজবংশী কোনো উপায় না পেয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাসের কাছে যান। পরে মামুন বিশ্বাস বিষয়টি জেনে ফেসবুকে বিস্তারিত লিখে পোস্ট দেন। এরপর খুব দ্রুত দেশ-বিদেশ থেকে তার ফেসবুক বন্ধু ও ফলোয়াররা টাকা পাঠান। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা জোগাড় হয়।
ওই টাকা দিয়ে মামুন ও তার সেচ্ছাসেবক দল শুরু করে বিয়ের কেনাকাটা। বাড়িতে তৈরি করা হয় বিয়ের গেট, বর মঞ্চ, মণ্ডপ ও বর যাত্রীদের জন্য প্যান্ডেল। এছাড়া রঙিন আলোকসজ্জা করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিদায় বেলায় সুপ্তি-সঞ্জয় দম্পতিকে আশীর্বাদ করেন মামুন বিশ্বাস।
পরেশ চন্দ্র রাজবংশী জাগো নিউজকে বলেন, মামুন বিশ্বাস পাশে না থাকলে এত ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিতে পারতাম না।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, মনুষ্যত্বই পরম ধর্ম। যারা এ কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এ কৃতিত্ব মূলত তাদের। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র।
এম এ মালেক/এমআরআর/এএসএম