আমদানি বন্ধ
হিলিতে চারদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
গত চারদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছ। প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম ৮-১০ টাকা বেড়েছ।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় নসিক জাতের পেঁয়াজ তিনদিন আগে ২৪-২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে পেঁয়াজ এখন ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২২-২৪ টাকার ইন্দোর পেঁয়াজ এখন ২৮-৩১ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। আর দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজিতে।
সেখানকার পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, কয়েকদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে পাইকারি আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এর কারণে বাজারে দাম বেড়েছে। তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
আরও পড়ুন: অস্থির পেঁয়াজের বাজার
পেঁয়াজের আড়তদার আব্দুল আলীম জাগো নিউজকে বলেন, রমজান মাসে পেঁয়াজ বেশি প্রয়োজন হয়। এ সময় আমদানি বন্ধ করায় দাম বাড়ছে। সরকার নাকি দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে। এখন দেশীয় পেঁয়াজ আগে যে পরিমাণ ছিল এখন সেই পরিমাণ আছে।
ষাটোর্ধ্ব অটোচালক আকবর আলী বলেন, যত সমস্যা আমাদের। যাদের ঘরে টাকা আছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। পেঁয়াজের দাম বাড়লেই কী আর কমলেই কী। কদিন আগে অটোতে সারাদিনে ৩-৪ টাকা আয় হতো এখন ২-৩ টাকা আয় করা কষ্টকর।
মকবুল হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা (৫ কেজি) পেঁয়াজ কিনেছি। আজ কিনলাম ১৮০ টাকা। এখন বোঝেন কী অবস্থা।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহাবুব আলম বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর এলসি খোলা রয়েছে। যে পরিমাণ এলসি খোলা আছে সেই পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে রমজান মাসে দাম হাতের নাগালেই থাকতো।
মাহাবুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম