মাদারীপুরে নিহত ১৯

চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাস: ফায়ার সার্ভিস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি। পরে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১৭ জন মারা যান। হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে শিবচর ফায়ার সার্ভিসের লিডার তরুণ অর রশিদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: সন্ধান মিলছে না খুলনার ৩ যাত্রীর

তিনি বলেন, সামনের বাম পাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। দ্রুত গতির হওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাস। চালক দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। মোট ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে জেনেছি।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে সকালে হালকা বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। গাড়ি দ্রুত চালানোয় হয়তো চাকা ব্লাস্ট হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯

এর আগে সকাল সোয়া ৮টায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

নিহতদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পরিবার-পরিকল্পনার ডিডি অনাদি রঞ্জন মজুমদার, আবু হেনা মোস্তফা কামালের মেয়ে আফসানা মিমি, গোপীনাথপুরের তৈয়ব আলী মিয়ার ছেলে হেমায়েত মিয়া (৩৮), টুঙ্গিপাড়ার কানচন শেখের ছেলে কবির হোসেন (৫৩), গোপালগঞ্জ সদরের এমরান আলীর ছেলে সজীব, পাচুরিয়া গ্রামের মো. মাসুদের মেয়ে সুইটি আক্তার (১২), বনগ্রামের সামসুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, মুকসুদপুর উপজেলার আমজেদ শেখের ছেলে মাসুদ (৩২), খুলনার সোনাডাঙার শেখ আহম্মেদ আলীর ছেলে শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, খুলনার চিন্ময় প্রসুন্ন ঘোষ (৩৭), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে সৈয়দ ইসমাইল (৩৮) ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য তাদের স্বজনদের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এসজে/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।