টিসিবির পণ্য পেতে ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩

খুলনায় আজ থেকে শুরু হওয়া টিসিবির পণ্য নিতে প্রায় যুদ্ধ শুরু করেছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল, ডাল, তেল, চিনি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন কার্ডধারীরা। তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলার ও তাদের লোকদের।

বুধবার (১৫ মার্চ) নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটি ওয়ার্ডে দুই লিটার তেল, এক কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও এক কেজি ছোলা বিক্রি করছেন ডিলাররা।

ডিলারদের অভিযোগ, এর আগে যখন আমরা পণ্য দিয়েছি তখন টিসিবি থেকে ডাল ও চিনি প্যাকেটজাত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার তা দেওয়া হয়নি। গোডাউন থেকে মাল এনে তা কয়েকজনকে দিয়ে প্যাকেট করে সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে সময় লাগছে অনেক।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের জন্য ১৬৫ জন ডিলার রয়েছেন। এই ডিলাররা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে টিসিবি পণ্য বিক্রয় করবেন। আজ নগরের ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ হাজার কার্ডধারী পরিবার এই পণ্য কিনতে পারবেন।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের বাসিন্দা জুয়েল বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কষাঘাতে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। সেই কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি দাম। ফলে একটু কম দামে কোথাও নিত্যপণ্য পেলে সেখানেই হামলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা এলাকার বাসিন্দা সেলিম বলেন, সকালে টিসিবির মালামাল দেওয়ার খবর পেয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দুপুরের পর থেকে ডিলাররা মাল দেওয়া শুরু করেছেন। শুধু তেলের দাম কম হওয়ায় দাঁড়াতে হয়েছে।

২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেকশোনা বলেন, দুই লিটার তেল হলে আমাদের চারজনের সংসারে ১৫-২০ দিন চলে যাবে। বাকি সময়ের জন্য বাজার থেকে কিনতে হবে।

তিনি বলেন, এবার অনেক দিন পর মাল দিচ্ছে টিসিবি। তবে পরিমাণে একটু বেশি দিলে ভালো হতো।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।