কলেজছাত্রী নিখোঁজের ৪ মাস পর এলো বেনামি চিঠি, মাঠে মিললো কঙ্কাল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৩
লামিয়া আক্তার, ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে লামিয়া আক্তার (১৮) নামের এক কলেজছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার চারমাস পর পরিবারের কাছে একটি বেনামি চিঠি এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় মেয়েটির মরদেহ বালুর মধ্যে চাপা দেওয়া আছে।

খবর পেয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মোতাহার মোল্লার বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওই কঙ্কাল চিথলিয়া গ্রামের নিখোঁজ লামিয়া আক্তারের কি না তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

লামিয়া আক্তার নাজিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ মে লামিয়া আক্তার বিয়ের দাবিতে তরিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তারিকুলের সঙ্গে তার বিয়ে পড়ানো হয়। ওই বিয়ে তরিকুলের পরিবার মেনে নেয়নি। এ কারণে লামিয়া বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।তারিকুল নিয়মিত সেখানে যাওয়া-আসা করতেন।

গত ৬ নভেম্বর রাতে তরিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে সন্ধান না পেয়ে ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে লামিয়ার পরিবার। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় জানতে পারে তরিকুল লামিয়াকে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর রাজিয়া বেগম (লামিয়ার মা) বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন।

রোববার (১২ মার্চ) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে লামিয়াদের ঘরের সিঁড়ির ওপর একটি বেনামি চিঠি দেখতে পায় তার পরিবার। ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘লামিয়ার লাশ মোজাহার মোল্লার বাড়ির পাশে বালুর মাঠের মধ্যে রাখা আছে’। পরে সোমবার সকালে পুলিশ ওই বালুর মাঠে যায়। সেখানে খনন করার একপর্যায়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তারের।

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, লামিয়াদের বাড়িতে পাওয়া চিঠির সূত্র ধরে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছে। কঙ্কালের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর মরদেহের পরিচয় জানা যাবে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।