মামলায় জর্জরিত বেলকুচি পৌর মেয়র
সরকারি কাজে বাধা, হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় জর্জরিত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও বেলকুচি উপজেলা সমবায় অফিসার সিরাজুল ইসলামকে হুমকির মামলা, বেলকুচি পৌরসভার সাবেক মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাসের কাছে চাঁদা দাবি ও পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা নিজেই তার নির্বাচনী হলফনামায় ৯টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। মামলাগুলোর মধ্যে ৮টি মামলা চলমান ও একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
মামলাগুলো হলো- দ্রুত বিচার আইনের মামলা (মামলা নং ১৮/২০১৮), জিআর ৮৪/২০২০, জিআর ৮৮/২০২০, বেলকুচি থানার মামলা নম্বর ১৩/২০১২, ঢাকা সাইবার ট্যাইব্যুনাল কোর্ট মামলা নম্বর ৪৮৪/২০১৮, বেলকুচি থানার মামলা নম্বর ১১/২০০৯, জিআর নম্বর ১৫৫/২০০৬, জিআর ১৫১/২০০৬ ও জিআর ৯৭/২০১৯ নম্বর মামলা।
এসব মামলায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে অধিকাংশ সময় আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় বেলকুচি থানায় দায়ের করা আনিছুর রহমানের মামলাটি আপোষ মীমাংসা হওয়ায় ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর এই মামলা থেকে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া সাবেক বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম সাইফুর রহমানকে ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি (বেলকুচি থানার মামলা নং-২০/২০১৯) নিষ্পত্তি হয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে কেন বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশও পাঠানো হয়।
এম এ মালেক/এফএ/এএসএম