বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে গ্রাহকের ‘ডিজিটাল’ ভোগান্তি
সাভারে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোনো সুরাহা মিলছে না। বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
জানা যায়, বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন নম্বর আসে গ্রাহকের মুঠোফোনে। সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়। কোনো ধরনের ভুল হলে সেই রিচার্জ আর সফল হবে না। একাধিকবার ভুল হলে মিটারটি লক হয়ে যায়। ২০ ডিজিটের নম্বরটি কিছুটা সহজ হলেও বর্তমান সময়ে বিপত্তি বেঁধেছে। সেই ২০ ডিজিটের নম্বরটি এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১২ গুণ বেশি অর্থাৎ ২০০ থেকে ২২০ ডিজিট আসছে। সেটা নিয়েই ভোগান্তিতে গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন- যেখানে মালিক-শ্রমিক সবাই সমান, কর্মপরিবেশও নিরাপদ
লম্বা এ ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি, তেমনি অন্যদিকে ভুলের সম্মুখীন হয়ে লক হচ্ছে মিটার।
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হাসান জানান, এটা কোনো সহজ কাজ নয়। ছোট ছোট অক্ষরের ডিজিটগুলো ২০টি নম্বরই প্রবেশ করাতে হিমশিম খেতে হয়। এখন ২শ থেকে আড়াইশ ডিজিট প্রবেশ করাতে হয়। আমরা শিক্ষিত যুবকরাই ভুল করি আর যারা বৃদ্ধ তাদের কী অবস্থা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। এটা দ্রুত সমাধান করা উচিত।
অঞ্জনা বেগম নামের আরেক গ্রাহক বলেন, আমি মিটারে নম্বর প্রবেশ করাতে গিয়ে মিটার লক করে ফেলেছি। বারবার অফিসে জানালেও দুদিনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুদিন পর অফিস থেকে লোক এসে ঠিক করে দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- সাড়ে তিন বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
সাভার পৌর এলাকার ছায়াবীথি এলাকার বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, আমার বাড়িতে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার ৩২টি। রিচার্জ করতে গিয়ে সবগুলোতেই দুই-আড়াইশো টোকেন নম্বর আসছে। রিচার্জ করতে হলে কত সময় ও শ্রম দিতে হচ্ছে চিন্তা করেন। এটাতো ভাই ডিজিটাল বিড়ম্বনা।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১’র সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. শাহজাহান কবির জাগো নিউজকে বলেন, যখন বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, তখনই এ সমস্যাটা শুরু হয়েছে। একবারই এমন কোড আসে। এটা সব জায়গায়, এটা শুধু এখানে নয়। আমাদের ১২টা সমিতিতে একই রকম সমস্যা। আমরা নিজেরাও এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটা টিম গঠন করেছি। রিচার্জ করার সময় যে সমস্যা হচ্ছে তা সমাধানে আমরা নিজেরাও হেল্প করছি। আমরা গ্রাহকদের বাসায় লোক পাঠিয়েও এই সমস্যা সমাধান করছি।
এফএ/জিকেএস