নজর কেড়েছে ফুলবাড়ীর শহীদ মিনার
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। এরমধ্যে ২ নম্বর আলাদীপুর ইউনিয়নের ৫২ নম্বর বারাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের নকশা সবার নজর কেড়েছে।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের নকশাটিও নান্দনিক। মিনারের বেদিটি ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি। মূল বেদির দুদিকে রাখা হয়েছে চারটি ফুল লাগানোর জায়গা। একপাশে দাঁড়িয়ে আছে নারিকেল গাছ। সামনে দৃষ্টিনন্দন একটি শাপলা ফুল। যাতে রয়েছে পানির ফোয়ারা।
ফোয়ারা ছাড়াও রয়েছে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে র্যাম সিঁড়ি। তবে শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ছয় লাখ টাকা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বারাই আদর্শ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটিতে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ চলমান। নির্মিত চারটি ফুলের বেডে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এখনো প্লাস্টার ও টাইলস লাগানোর কাজ শেষ হয়নি।
সেখানে কথা হয় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে মূল নকশা ঠিক রেখে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এরই মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ হাছিনা ভূঁইয়া আমাদের বিদ্যালয় ও শহীদ মিনারটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি শহীদ মিনারটি নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন।
দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারটির নকশা করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এক বেদিতেই আমরা শহীদ মিনার ও শাপলা ফুল স্থাপনে কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরও দুই লাখ টাকা প্রয়োজন। সরকারি বরাদ্দ ও শিক্ষকদের সহায়তায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
পাশের পানিকাটা গ্রামের বাসিন্দা হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার সাদাত মণ্ডল বলেন, নির্মাণাধীন শহীদ মিনারটি সবার নজর কেড়েছে। নকশা অনুয়ায়ী সব কাজ শেষ হলে আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ হাছিনা ভূঁইয়া বলেন, ৫২ নম্বর বারাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজে আমি অভিভূত। তারা এত সুন্দর একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জেআইএম