নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে চারজন জীবিত উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এফবি ভাই ভাই ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার ঘটনায় সাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জীবিত উদ্ধার জেলেরা হলেন, আব্দুল হাই (৪০), শফিকুল মাঝি (৩৫), ইয়াসিন জোমাদ্দার (৩২) ও জামাল খাঁ। এখনো নিখোঁজ পাঁচ জেলে হলেন, কাইয়ুম জোমাদ্দার (৩৫), আবুল কালাম (৫৮), খায়রুল ইসলাম (৪০), আব্দুল আলীম (৫৫) ও ফরিদ মিয়া (৩৮)।
তালতলীর এফবি মা মরিয়ম নামে মাছ ধরার একটি ট্রলারের জেলেরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দুইটার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের হামলায় ট্রলারে থাকা ১৮ জেলের মধ্যে ৯ জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে গত তিনদিন ধরে সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানে কোস্টগার্ড, র্যাব এবং জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির উদ্ধারকারী দল অভিযান চালায়। পরে সোমবারে ভোরে তালতলীর এফবি মা মরিয়ম নামে একটি ট্রলারের জেলেরা সাগরে নিখোঁজদের মধ্যে চার জেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ডকে খবর দেয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার চারজনের মধ্যে আব্দুল হাই ও শফিকুল মাঝির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র গোলদার বলেন, এখনো নিখোঁজ পাঁচ জেলেকে উদ্ধারে সমুদ্রে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমআরআর/জেআইএম