শীত কমতেই মাধবকুণ্ডে পর্যটকের ঢল
শীত শেষে বসন্ত চলছে। এরই মধ্যে শীতের দাপটও অনেকটা কমেছে। তাই মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাধবকুণ্ড ঝরনায় পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড় ঘেরা চা বাগানেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। দূর-দূরান্ত থেকে এসব জায়গায় ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসু মানুষ।
শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি এবং রোববার শবে মেরাজের বন্ধ থাকায় এখানে পর্যটকের পদচারণা বেড়েছে। কেউ আসছেন পরিবার নিয়ে আবার কেউ আসছেন প্রিয়জনকে নিয়ে। কেউ ঝরনায় গোসল করছেন আবার কেউ সেলফি-ভিডিও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পর্যটকরা জানান, এখানে উঁচু পাহাড় ঘেরা সবুজ প্রকৃতি চা বাগান তাদের আকৃষ্ট করেছে। মাধবকুণ্ডের ঝরনাও দেখার মতো। ১৫০ ফুট ওপর থেকে জলধারা প্রবাহিত হয়।
বাহরাইন প্রবাসী মো. মোশারফ বলেন, ‘অনেকদিন পর দেশে এলাম। সন্তানদের স্কুল বন্ধ থাকায় এখানে বেড়াতে এলাম। প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে খুব ভালো লাগছে।’
সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু রিমা বেগম বলেন, ‘ছোটবেলা এসেছিলাম। এখানে শ্বশুরবাড়ির সুবাদে দীর্ঘদিন পর আবার আসলাম। আমাদের সিলেটের বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ আছে। যত দেখি তত ভালো লাগে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘অনেক আগে একবার এসেছিলাম। এখন নাতি-নাতনিদের নিয়ে এসেছি। এখানের ঝরনা দেখতে খুব ভালো লাগে।’
যশোর থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৪৫ জনের একটি দল নিয়ে তিন দিনের জন্য বেড়াতে এসেছি। আল্লাহর সৃষ্টি যে, এত সুন্দর না দেখলে বোঝা যায় না। চা বাগান, পাহাড় ও ঝরনা দেখতে খুবই সুন্দর। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভালো।’
ঢাকা থেকে আস আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আবদ্ধ পরিবেশে বসবাসের কারণে আমাদের মধ্যে একগুঁয়েমি চলে আসে। তাই বিনোদনের জন্য এসব স্থানে এলে মানসিক প্রশান্তি মেলে। তাই এলাম, অনেক ভালো লাগছে।’
মাধবকুণ্ডে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সুমন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, শীত কেটে যাওয়ায় দুদিন ধরে কয়েক হাজার পর্যটক এখানে এসেছেন। বলা যায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। আমরা নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
পর্যটন হোটেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুদিনে পর্যটকের পদচারণা অনেক বেড়েছে। এ মৌসুমে এত পর্যটক আর দেখা যায়নি।
মাধবকুণ্ড ইকো পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাশ জাগো নিউজকে বলেন, তিন দিনের ছুটি ও শিবরাত্রি উপলক্ষে পুণ্যার্থীসহ দুই হাজারের বেশি পর্যটক এসেছেন। এখানে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
এসজে/জেআইএম