তিন সবজি নিয়ে বিপাকে বরিশালের ব্যবসায়ীরা
বরিশালের পাইকারি বাজারে তিন সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশালের পাইকারি বাজারখ্যাত বহুমুখী সিটি মার্কেটের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে বিষয়টি জানা যায়।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও কমেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগমের দাম। গত ৮-১০ দিন আগেও পাইকারি বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগম ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার পাইকারি বাজারে ফুলকপি চার, বাঁধাকপি দুই ও শালগম চার টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মিলছে না ক্রেতা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মৌসুমের শেষ দিক হওয়ায় ক্রেতারা এ তিন সবজিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য সবজি বিক্রি হলেও ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগম এ তিন সবজি বস্তা ভর্তি করে আড়তে রাখা হয়েছে। মৌসুম শেষ হওয়ায় এসব সবজির চাহিদা কম।
বহুমুখী সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক আমিন শুভ জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগম কিনছে না কেউ। এসব সবজি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই তিন সবজি বিক্রি করতে পারছি না। ফলে কয়েকদিন ধরেই লোকসান হচ্ছে।
সিটি মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী বাবুল বাণিজ্যালয়ের মালিক বাবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগম বিক্রি নেই। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে গাড়ি ভাড়াও উঠছে না।
তবে এ তিন সবজি বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বাংলাবাজার গিয়ে দেখা যায় দুই তিন কেজি ওজনের একেকটি ফুলকপি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই তিন কেজি ওজনের বাঁধাকপি ১২-১৫ ও শালগম ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বাংলাবাজার এলাকার খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে সবজি কেনার পর পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক দিয়ে আনতে হয়। এরপর বাজারে সবজি নিয়ে বসলে এবং লাইটের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় সবজি নষ্ট হলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারির তুলনা করে লাভ নেই।
তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজির মৌসুম এখন প্রায় শেষ। তাই ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শালগমের প্রতি চাহিদা কমেছে। তাই এ তিন সবজি নাম মাত্র রাখা হয়। তবে যা রাখা তাও অধিকাংশই থেকে যায়।
এএইচ/এমএস