হিলিতে নয়, এখন থেকে বিরামপুরে ট্রেনের পণ্য খালাস: রেলমন্ত্রী
এখন থেকে হিলিতে নয়, ট্রেনে আনা বিভিন্ন মালামাল বিরামপুর স্টেশনে লোড আনলোডের কাজ করা হবে। হিলি স্টেশন ভারতের সীমানাঘেঁষা হওয়ায় ভারতীয়দের কিছু বাধার কারণে বিরামপুর স্টেশনে নতুন করে শেড নির্মাণ করা হবে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিরামপুর রেলস্টেশনে আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ট্রেনে নতুন করে কোচ সংযোজন করবো। এখন থেকে দেশের সব ট্রেন ১১ থেকে ১৮ বগিতে উন্নীত করা হবে। এতে যাত্রীদের চাপ অনেকটা কমে আসবে এবং ট্রেনের সেবা বাড়বে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দর্শনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলের ডাবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শিগগির সেখান থেকে বিরামপুর হয়ে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ শুরু হবে।
ঢাকাগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিরামপুর স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করে। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি কবে নাগাদ বিরামপুর স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার কাজ শুরু করবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুরে স্টপিস (থামবে) দেবে। আর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়ানোর বিষয়ে ভাবনায় আছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরামপুর স্টেশন আধুনিকায়তনের কাজ ২০২১ সালের নভেম্বরে শুরু হয়। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মের উত্তর ও দক্ষিণের প্রশস্তকরণ এবং দ্বিতল ভনের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন গাড়ি পার্কিংয়ের কাজ চলমান। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা।
এসময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনিচুর রহমান, রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক অশিম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, বিভাগীয় প্রকৌশলী পাকশী-২ বিরমল মন্ডল, বিরামপুর পৌরমেয়র আক্কাস আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
মাহাবুর রহমান/এসআর/জিকেএস