নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ: মন্ত্রী
মহামারি করোনাপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকট সৃষ্টি হলেও নির্দিষ্ট সময়েই যমুনার নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিমে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। শুধু বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নয়, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললাইনের যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সে প্রকল্পও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
এসময় প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সামাদ তালুকদার, চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিনসহ রেল বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরই মধ্যে সেতুটির ৫৩ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্টিল অবকাঠামোর এ সেতুতে ডাবল লাইন থাকবে। ট্রেন চলতে পারবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এটিই হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটিতে ৫০টি পিয়ার এবং দুটি পিয়ারের মাঝখানে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য গড়ে ১০০ মিটার। এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর প্রান্ত থেকে ৩৪ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর মোট ১৭টি পিয়ার স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ৩৩টি পিয়ারের মধ্যে বেশ কয়েকটি আংশিক স্থাপন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ৪০ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ৩৯-৪০ নম্বর পিয়ারে আরও একটি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে।
এম এ মালেক/এসআর/এমএস