রাঙ্গামাটির দ্বীপ-হ্রদ পাড়ে তাঁবুবাসে ঝুঁকছেন পর্যটকরা
হ্রদ-পাহাড়ের জেলা পার্বত্য রাঙ্গামাটি। সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে এ জেলায় পর্যটকরা আসেন ছোট-বড় পাহাড়, ঝরনা আর কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি দেখতে। পার্বত্য এ জেলাটিতে সারা বছর কম-বেশি পর্যটক আসলেও শীতে পর্যটকে মুখরিত থাকে এ জনপদ।
পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে কোলাহল মুক্ত, নিরিবিলি এবং প্রকৃতির অন্য রকম মন মুগ্ধকর পরিবেশ। প্রকৃতির আরও কাছাকাছি যেতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে আসা পর্যটকরা এখন বিভিন্ন দ্বীপে এবং হ্রদের পাড়ে তাঁবুবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ইট-পাথরের শহর থেকে এসে কোনো হোটেল-মোটেলে না থেকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চান অনেকে। তাই কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন দ্বীপে পর্যটকদের তাঁবুবাস করতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া চন্দ্রিমা, বার্গি, রাইন্যাটুগুনসহ বিভিন্ন রিসোর্টগুলোও পর্যটকদের চাহিদা মাথায় রেখে তাঁবুবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, চারদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি মাঝখানের দ্বীপে রাত্রিযাপন করা আসলে উপভোগ করার মতো। রাতে বারবিকিউ, ক্যাম্প ফায়ারসহ সব মিলে আনন্দ উপভোগ করেছি।
আরও পড়ুন: ঝড়ের রাতে পাহাড়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা
শুভ দেবনাথ আরেক তরুণ বলেন, আমার এবার প্রথম এমন তাঁবুবাস করা। কাল রাতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলাম। আমরা যে মায়াবী দ্বীপে আছি সেটা অনেক সুন্দর। আমি পুরোটা সময় প্রকৃতির মাঝে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি উপভোগ করেছি।
রাঙ্গামাটির ট্যুরিস্ট গাইড গালিব হাসান বলেন, রাঙ্গামাটিতে ইদানিং তাঁবুবাসের চাহিদা বেড়েছে। আগে যতটুকু ছিলো এখন তরুণ পর্যটকদের মাঝে এ চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।
রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক নয়ন দাশ বলেন, রাইন্যা টুগুনের প্যাকেজ ভিত্তিক তাঁবুতে রাত্রিযাপন ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। জনপ্রতি ১২০০ টাকা প্যাকেজে তাঁবুতে রাত্রিাযাপনের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে সন্ধ্যার নাস্তা, রাতের খাবার, সকালের নাস্তা এবং ৩০ মিনিট কাইকিং করার সুযোগ।
সাইফুল উদ্দীন/আরএইচ/জেআইএম