খুলনায় বিএনপির ৬৩ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় নাশকতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৬৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনায় পুলিশের করা নাশকতা ও সহিংসতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৬৩ নেতাকর্মী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত মামলার শুনানি শেষে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া মামলার তিন আসামি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর বিএনপির সদস্য মোল্লা ফরিদ আহমেদ ও সদর থানা যুবদল নেতা মাহমুদ হাসান বিপ্লব গুরুতর অসুস্থ থাকায় তাদের জামিনের বিশেষ আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়ে শুনানি হলেও আদালত তাদের বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশ হয়রানিমূলকভাবে নাশকতা, সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। বুধবার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং লবনচরা থানার এই তিন মামলায় অন্য যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, নাসিম আহমেদ প্রমুখ।
শুনানিকালে আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, গাজী আব্দুল বারী, এস আর ফারুক, মাসুদ হোসেন রনি, মোমরেজুল ইসলাম, আখতার জাহান রুকু, মশিউর রহমান নান্নু, তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষারসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন।
আলমগীর হান্নান/এমআরআর/জিকেএস