লোকবলের অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে হাওরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে নির্মিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জনবল সংকট। একজন সিনিয়র অবজারভার ও তিন কর্মচারী দিয়ে চলছে অফিস। ফলে সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না অফিসের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাওরবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের আবহাওয়ার আগাম খবর পেতে এবং কৃষি প্রযুক্তির নানামুখী সুবিধার লক্ষ্যে নিকলীতে ২০১৪ সালে দু-একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। ২০১৭ সালের ১৭ মে থেকে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: হাওর-চরাঞ্চলে বাড়বে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা, ব্যয় ১৫৪ কোটি
এ অফিসে আছে তাপমাত্রা নির্ণায়ক, সূর্যকিরণ মাপক যন্ত্র, বাতাসের গতি নির্ণয় যন্ত্র। আরও আছে অত্যাধুনিক ওয়েদার স্টেশন, ওআরজি, মাটির নির্দিষ্ট গভীরতায় তাপমাত্রা নির্ণয় যন্ত্র, স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমাপক যন্ত্র এবং ইভাপোরেশন পেনসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি। তবে সব কিছুর পরও যেন কিছুই নেই। লোকবল সংকটে প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও পূর্ণতা পায়নি আবহাওয়া অফিসটি।
স্থানীয়রা জানান, আবহাওয়ার আগাম বার্তা, ফসলের খবর, বন্যা, খরা, বজ্রপাত, মাটির উষ্ণতা পরিমাপসহ কৃষি কাজের নানা তথ্য ও সুবিধা পাওয়ার কথা এ অফিস থেকে। তবে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না হাওরে পাখি শিকার
নিকলী প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম জাগো নিউজকে বলেন, সহকারী আবহাওয়াবিদ, আবহাওয়া সহকারী, সিনিয়র অবজারভার, ওয়ারলেস সুপারভাইজারসহ সাতটি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। একজন সিনিয়র অবজারভারসহ তিন কর্মচারীকে সামলাতে হচ্ছে পুরো অফিস। বার বার তাগাদার পরও মিলছে না লোকবল। তাই চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এসজে/এমএস