জুতা খুলে তেড়ে এলেন সাবেক যুবলীগ নেতা, ভয়ে অজ্ঞান নার্স
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ফরিদা ইয়াসমিন (৩৫) নামের এক নার্সের দিকে জুতা নিয়ে তেড়ে আসার অভিযোগ উঠেছে মাসুদ নামের সাবেক এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এসময় ভয় পেয়ে ওই নার্স অজ্ঞান হয়ে যান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারে এ ঘটনা ঘটে।
মাসুদ শিবগঞ্জ পৌর এলাকার দৌলতপুর সৌদিপাড়া মহল্লার দুরুলের ছেলে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি লিখে নেওয়ায় দুই ছেলের নামে মায়ের মামলা
নার্স ফরিদা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারে আমি সকাল থেকে কর্মরত ছিলাম। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আমার কাছ থেকে ডায়াবেটিসের ওষুধ চান মাসুদ। তবে হাসপাতালে ডায়াবেটিসের ওষুধ সরবরাহ না থাকায় আমি তাকে ওষুধ দিতে পারিনি। এতেই আমার ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অশালীন আচরণ করেন মাসুদ। একপর্যায়ে জুতা খুলে আমার দিকে দৌড়ে আসেন। এসময় আমি ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে পাশে থাকা ব্যক্তিরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ বলেন, ‘নার্সের সঙ্গে শুধু কথা-কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এক রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন ওই নার্স।’
আরও পড়ুন: ডাকাতকে বিশ্বাস করা যায়, বিএনপিকে নয়: এস এম কামাল-
শিবগঞ্জ পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসিফ আহমেদ সৌরভ বলেন, ‘মাসুদ বর্তমানে কোনো পদে নেই। তবে আগের কমিটিতে তার নাম ছিল।’
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর/জিকেএস