ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মৃধাও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতার পর এবার সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য।

১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৭ জানুয়ারি তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই প্রতীক বদলে আপেল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জিয়াউল হক মৃধা তার পাঠানো বিবৃতিতে লিখেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে থেকে দুবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত সময়। এ সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারি না। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন থেকে আমি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালাম।

এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার মোবাইল ফোনে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ছেলে বিদ্যুৎ মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বিস্তারিত বিবৃতিতে উল্লেখ আছে।’

জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়ের পথ আরও পরিষ্কার হলো বলে মনে করছেন ভোটাররা।

এর আগে ১৪ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু। ফলে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার সংসদ সদস্য ছিলেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।