ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আতঙ্কের নাম ইউটার্ন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে লাল নিশানাই ভরসা
দিনের পর দিন বিপদজনক হয়ে উঠছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইউটার্নগুলো। এসব ইউটার্নে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত এক বছরে মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪০ কিলোমিটার অংশে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাইওয়ে ইন, ফুড প্যালেস, নালঘর রাস্তার মাথা, বাবুর্চি বাজার, সোনাকাটিয়া রাস্তার মাথা, হায়দারপুল, আমজাদের বাজার, ফাঁসি বটগাছ, গাংরা বাজার ও পদুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় ১০টি ইউটার্ন রাখা হয়েছে। এসব স্থানে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানোর নিয়ম থাকলেও ব্যস্ততম সড়কের অধিকাংশ স্থানে সেটি নেই। দুর্ঘটনা এড়াতে ইউটার্নগুলোর পাশে স্থানীয়রা লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন। এরপরও রাতে গাড়ি ঘুরিয়ে লেন পরিবর্তনের সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বন্ধ হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবৈধ সব ইউটার্ন
বাবুর্চি রাস্তার মাথা এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, ইউটার্ন এ এলাকায় আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এসব ইউটার্নে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়েছেন।
মিরশান্নী এলাকার নিজাম উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ ও চালকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ইউটার্নগুলোতে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার লাগানোর নিয়ম থাকলেও নালঘর ইউটার্নে সেটি নেই। রাতের বেলায় এখানে প্রাণহানি ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: ছয় লেন হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
জগন্নাথদিঘী এলাকায় কথা হয় কাভার্ডভ্যান চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, ইউটার্ন দিয়ে গাড়ি সড়ক পরিবর্তন করতে গেলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাতে বেশি দুর্ঘটনা হয়।
এ বিষয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম লোকমান হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কিছু ইউটার্নে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার নেই। যার কারণে চালকদের অসাবধানতাবসত রাতের বেলায় এসব স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমরা সড়ক বিভাগকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল ব্যবসার জন্য ‘বিষফোঁড়া’
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীত চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ইউটার্নগুলোতে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সেগুলো নিয়ে গেছে। বর্তমানে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে মেরামতের কাজ চলছে। শেষ হলেই স্টিকার এবং গতিসীমার লোগো টাঙানো হবে।
আরএইচ/জিকেএস